জেলার মেলান্দহ পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরিতে যোগদানের ১১ মাস অতিক্রম হলেও তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি তাঁর চাকুরির সার্ভিস বহি এখন পর্যন্ত পৌরসভার কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়নি। বরং তিনি গত ১লা জুলাই ২০২৫ ইং সাল তারিখ থেকে তিনি তাঁর নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে নিয়মিত অনুপস্থিত রয়েছে বলে পৌরকর্তৃপক্ষের অফিস সূত্রে গেছে। মেলান্দহ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলাম কে বার বার তার চাকরির সার্ভিস বহি জমা দেওয়ার তাগিদ দিলেও তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে আজ পর্যন্ত তাঁর সার্ভিস বহি জমা দেইনি। যাহা সরকারি চাকরির নিয়ম বহির্ভূত বাংলাদেশ গেজেট পৌরসভার কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা ১৯৯২ এর ৩৮ দ্বারা মোতাবেক সকল কর্মকর্তা /কর্মচারী ব্যক্তিগত নথি,বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ও সার্ভিস বহিরCustodiam। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মেলান্দহ পৌরসভা থেকে সূদ্য বদলীকৃত পূর্বতন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা বার বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও এই বিষয়ে তিনি কোন রকম কর্ণপাত না করে সার্ভিস বহি ও বিষয়ে বর্ণিত ব্যাংক ষ্ট্যাটমেন্ট সমূহ অত্র কার্যালয়ে জমা প্রদান করেন নাই। যার ফলে চাকুরিতে যোগদানের ১১এগারো মাসএর অধিককালসময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তার চাকুরির যোগদানের বিষয় টি তার সার্ভিস বহিতে লিপিবদ্ধ করা সন্ভব হয় নাই। মেলান্দহ পৌর সভার হিসাবে রক্ষণ কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলামের সার্ভিস বহি চালু না থাকা এবং পৌর কর্তৃপক্ষের বার বার তাগিদ উপেক্ষা করা বাংলাদেশ সরকারি চাকরির নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকারি ও স্থানীয় সরকার কর্মচারীদের জন্য সার্ভিস বহি বা সার্ভিস বুক একটি বাধ্যতামূলক নথি, সেখানে কর্মচারীর নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি,ছুটি, শৃঙ্খলাভঙ্গ, বেতন স্কেল ছুটি, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও অনুসন্ধানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তিনি পূর্বের ষ্টেশন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌরসভায় চাকরির কর্মকালীন সময়ে তাঁর ভবিষ্যতে তহবিল ও আনুতোষিক তহবিলের হিসাবের অর্থ ব্যাংকের এটিএম কার্ডের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অর্থ উত্তোলম করে নিয়েছেন যাহা সরকারি চাকরির নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন ও নিয়ম বহিভূর্ত এবং সরকারী অর্থ আত্মসাত্বের সামিল বলে গণ্য হবে। এছাড়াও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলাম মেলান্দহ পৌরসভা থেকে গত ১/০৭/২০২৫ ইং তারিখে ১০(দশ) লক্ষ টাকা গৃহঋণ চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে। আবেদনটি পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা কে নথিতে পেশ করতে বলা হয়। গৃহঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানত বাবদ PFবা GF তহবিলে চাহিদাকৃত ঋণের তুলনায় সামান্য পরিমাণ সঞ্চিত অর্থ থাকায় পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা গৃহঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করেন।পরবর্তীতে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলামের GF তহবিলে স্থিতিকৃত অর্থ অপ্রতুল থাকার বিষয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, উক্ত হিসেবের (GF) এর বিপরীতে ব্যাংক থেকে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন ও ব্যবহার করে সমৃদয় অর্থ তুলে নেন। যাহা বেআইনি ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর সামিল।ফলে গৃহঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জ্ঞাপন করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আবেদন পত্রটি নিজ হেফাজতে নিয়ে ৭/৮ জন কর্মচারী এবং একজন সেবা গ্রহিতার উপস্থিতিতে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে অফিসের ফ্লোরে ফেলে রাগান্বিত হয়ে পায়ের জুতা দিয়ে পিষতে থাকেন। যাহা সরকারি চাকরির নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এহেন অসৎ আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ গেজেট, পৌরসভা কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা -১৯৯২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য কেন তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে পত্র প্রেরণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তিরব০৩(তিন) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত আকারে ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মেলান্দহ পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আলমগীর।