প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তা থাকবে না। জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে আওয়ামী লীগ।
লক্ষ্য স্থির রেখে পরিকল্পনার জন্য দেশে দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। মানুষের সেবা করলে জনপ্রতিনিধিদের কেউ হারাতে পারবে না।
ভবিষ্যতে ভোটের চিন্তাও থাকবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটির মেয়র কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আপনাদের বিরল সম্মান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে তাদের দুঃখ দুর্দশা ভাগ করে সে সম্মান আপনাদের ধরে রাখতে হবে।
‘আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে ভোটের কোনো চিন্তা থাকবে না। মানুষ আপনাদের ওপর আস্থা রাখবে, বিশ্বাস রাখবে। এই কথাটা আপনারা মাথায় রাখবেন।
জনসেবার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন, সেটাই আমরা চাই।‘ বলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেদের জায়গা থেকে সিটি করপোরেশন ও জেলাকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই জনগণ সেবা পায় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার যে জনগণের সেবক তা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষ বুঝতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ চাইবে খাদ্য আমদানির মাধ্যমে তাদের ওপর নির্ভরশীল থাকি।
তবে কোনো বড় দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না বাংলাদেশ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তাহসীন বাহার সূচনাকে শপথবাক্য পাঠ করান। এছাড়া কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরও শপথ পড়ান তিনি। একই সময়ে শপথ নেন ময়মনসিংহ সিটির নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা। তাদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গত ১০ মার্চ ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে তাহসীন বাহার সূচনা ৪৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
একই দিন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এক লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু।