মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দীর্ঘদিনের ব্যবহারের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । সিঙ্গাইর পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের ওই রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এবিষয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো অভিযোগকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা চলছে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দীর্ঘদিনের ব্যবহারের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠেছে আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । সিঙ্গাইর পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের ওই রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এবিষয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। উল্টো অভিযোগকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা চলছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিঙ্গাইর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া-বকচর গ্রামের সংযোগের রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ ১৫/২০ বছর যাবৎ সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। ওই রাস্তার পাশের একটি জমিক্রয় করেন বলধারা ইউনিয়নের পারিল গ্রামের আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। জমিটি ক্রয় করার পর আওলাদ হোসেন দীর্ঘ দিনের ব্যবহারের রাস্তাটি বন্ধ করে একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পরে কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক সাধারণ মানুশ। বেশি অসুবিধা হচ্ছে গোবিন্দল-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। রাস্তাটি বন্ধ করায় প্রায় ১ কিলোমিটার ঘুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার মাহি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। রাস্তাটি বন্ধ করাই খুবই অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি পুনরায় উদ্ধার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।
গোবিন্ধল-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পরেছে। ওই রাস্তা দিয়ে বকচর, বিনোদপুর ও নয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। রাস্তাটি বন্ধ করায় শিক্ষার্থীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয় আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, রাস্তাটি সচল রাখার জন্য এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছিনা। উল্টো আমাকেসহ অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা করছেন প্রভাবশালী আওলাদ হোসেন।এবিষয়ে কথা বলতে আওলাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরসহ একটি অভিযোগ পেয়েছি। এবিষয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।