মাদারীপুরে পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের মামলা, কনস্টেবলসহ ৪ জন কারাগারে

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৬:২৯ আপডেট: ৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৬:২৯ পিএম
মাদারীপুরে পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের মামলা, কনস্টেবলসহ ৪ জন কারাগারে
এ দিকে দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষে কৌশলী।

মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্যে নিয়ে দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন, মাদারীপুরের সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী। এছাড়া এই মামলায় অপর দুই আসামি মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হয়নি। 

মাদারীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান শিং জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন আসামিদের প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের (চলতি বছরের) ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। এই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। শুনানি শেষে আসামি৪ জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এ দিকে দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষে কৌশলী। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo