মাগুরা শ্রীপুর লাঙ্গলবাধ বাজারের কাপড়পট্টিতে সরকারি খাস জমির উপর গয়েশপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব প্রভাষ চন্দ্রর ছত্রছায়ায় ঝিনাইদহ শৈলকূপা উপজেলার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের মালিতিয়া গ্রামের রেজাউল নামের এক লোক বড় করে পাকা দোকান ঘর তুলছে।অবশেষে শ্রীপুরে এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো খাস জমির উপর অবৈধ ঘর নির্মন।
গত ৩ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। এর আগেও নায়েব প্রভাষের সহায়তায় ৪-৫ টি দোকান ঘর তুলেছে লোকজন। খবর শুনে শ্রীপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস লাঙ্গলবাধ বাজারে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লাঙ্গলবাধ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মন্টুর সহায়তায় মালিতিয়ার রেজাউল ও নায়েব প্রভাষ চন্দ্রের যোগসাজশে আবারও কাজ বন্ধের রাত থেকে কাজ করে যাচ্ছে গোপনে। প্রধান শিক্ষক মন্টু বলেন লাঙ্গলবাধ বাজারের বণিক সমিতি এই দোকান ঘর স্থাপনা তৈরি করছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, এসিল্যান্ড কাজ বন্ধ করে দিলে রাতভর কাজ চলে। পুরাতন মাংস বিক্রি করার জায়গায় সব মালামাল রাখা আছে এবং মিস্ত্রি কাজ করছে। একজন পেশাদার শিক্ষক জাতির ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়ে কিভাবে অপরাধ মূলক কাজে সহযোগিতা করে বিষয়টা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হোক।
গয়েশপুর ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি অফিসার প্রভাষ চন্দ্র জানান, এসিল্যান্ড কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বলেছেন সরকারি খাস জমিতে কোন কিছু স্থাপনা তৈরি করা যাবে না এবং তিনি দ্রুত মাগুরা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সাথে দেখা করতে বলেন। আর আজ ৩ দিন ধরে নায়েব ১ নং খতিয়ানের ডকুমেন্টস গুলো দিতে সাংবাদিকের কাছে গড়িমসি আচরণ করছে।
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি গুঞ্জন বিশ্বাস জানান, সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ দোকান ঘরের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাস জমিতে দোকান ঘর বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার জানান, সরকারি খাস জমিতে দোকান ঘর স্থাপনার বিষয়টি মাগুরা জেলা প্রশাসক কে জানাচ্ছি।