দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নওপাড়ার মরহুম আনোয়ারুল ইসলামের পুত্র মোতাহারুল ইসলাম, সাদেকুর রহমান, মহিদূর রহমানসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করে জানান ক্রয় সুত্রে তারা ৬ ভাই লস্করপুর মৌজার ৯৪, ১০৯ ও শিবপুরের ৯১ দাগে ৩ একর ২০ শতাংশ জমির মালিক।
তম্মধ্যে ১ একর ৬০ শতাংশ জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে চিহ্নিত ভুমিদস্যু সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান বাদশা। তারা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইংরেজি ১৯৮৯ সালে জমিগুলো জনৈক মোকলেছুর রহমানের নিকট ক্রয় পুর্বক স্ব স্ব নামে নামজারি এবং খাজনাদি পরিশোধ করে শাস্তিপুর্ন ভোগদখলে থাকা কালে গত ইংরেজি ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে দস্যুতা মুলক উল্লেখিত জমি ওয়াহিদুজ্জামান বাদশা তার গুন্ডা বাহিনী দ্বারা জবর দখল করে নেয়। বর্তমানে জমিতে শফিকুল ও তরিকুলসহ বর্গাদারেরা আলু চাষ করেছে। গত সোমবার উৎপাদিত আলু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিলে সহিদুর রহমান গং এবং পাড়ার লোকজন লাঠি সোঁটা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের কে বাঁধা প্রদান করতে গেলে তুমূল বিবাদ শুরু হয়। এক পর্যায় থানা পুলিশে সংবাদ দিলে ঘটস্থলে এস আই আনসারুল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির হন এবং উত্তেজনাপুর্ন পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে উভয় পক্ষ ঘটনার সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাসে সংঘর্ষ থেকে সাময়িক শান্ত হলেও আবারও চরম সংঘাত এমনকি খুন জঘমসহ হতাহতির ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এ ব্যপারে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান বাদশাকে তার বাড়িতে পাওয়া যায় নি, তবে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, জমিগুলো তার পৈত্রিক সম্পত্তি, অনেকে তার চাচা মোকলেছুর রহমানের কাছে ভুল দলিল নিয়ে ভোগদল করছিল। ওয়ারিশান সম্পত্তি তিনি প্রকৃত মালিক হওয়ায় এ যাবত ৪১ জন ক্রেতা ভুল দলিলের সংশোধন করে নিলেও সহিদুর গং তার বিরুদ্ধে প্রপাকান্ডা ছড়াচ্ছেন বলে দাবী করেন তিনি।