তীব্র শীতের মধ্যে ভোলায় সকালের দিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। একদিকে তীব্র শীত আরেকদিকে বৃষ্টি, এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। তীব্র শীতের কারণে তারা জবুথবু অবস্থায় পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে দিনমজুর মানুষ। শ্রমজীবীমানুষগুলো কনকনে ঠান্ডার মধ্যে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্ট চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কনকনে বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বো”চ তাপমাত্রা ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার এবং আগামী আরও দু’তিন দিন জেলায় আরো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আরো জানা গেছে, পৌষের শেষে মাঘের শুরুতে তীব শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভোলার জেলে পাড়াসহ কর্মজীবী মানুষের। ভোলা সদরের ইলিশা বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শীতে কাঁপছে শিশু, বৃদ্ধরা। তীব শীত অপেক্ষিত করে জীবিকার তাগিদে ছুটে যাচ্ছেন কর্মমুখী মানুষরা। ভোলা সদরের নতুন বাজার টাউন হল চত্ত¡রে পুরান কাপড়ের মার্কেটে চলছে গরম কাপড় বেচা-কেনার ধুম।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে নিন্ম আয়ের মানুষগুলো ছুটছেন ফুটপাতসহ অস্থায়ী ভিত্তিতে তৈরীকৃত পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্বে”ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদেরমাঝে বিতরণ করা হ”েছ কম্বল। অন্যদিকে, ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, তীব্র শীতের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় শীতকালীন শাকসবজির পাশাপাশি আলুর বীজতলায় পানি জমে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও এ বৃষ্টিতে গম ভুট্টার উপকার হবে। তবে জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আলু চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হ”েছ। ভোলা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশি পাল জানান, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় শীতের পরিমাণ আরও বেড়ে গেছে। সেজন্য ঠান্ডা থেকে শিশুদের সুরক্ষা রাখতে গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। শিশুদেরকে বাসি এবং ঠান্ডা খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।