গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে বহু ছাত্রজনতা হতাহত হয়। আন্দলোনে নিহত সেই সব শহীদদের স্বরণে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নাগরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্থানীয় আবুল হোসেন তরুণ অডিটোরিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের সম্মুখ যোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা শাকিল আহমেদ তিয়াস।
সময় শাকিল আহমেদ তিয়াস বলেন, ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাশাসক খুনী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিগত ১৬ টা বছর আন্দলোন সংগ্রাম করেছি,নিজের জীবন যৌবন অর্থকরী সব হারিয়েছি সর্বশেষ ছাত্র আন্দলোনে ঢাকাতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে বহু প্রাণের বিনিময়ে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। আমার আর কিছুই চাওয়া পাওয়ার নেয়। এখন শুধু এই স্বাধীনতা রক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনের কেন্দ্রীয় নেতা শায়ন আহমেদ রাফার সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন মো: নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সদস্য হাসানুর রহমান হাসান, কুমারখালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সবেক সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কুমারখালী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্র নেতা প্রজন্ম ফারুক, সাবেক ছাত্র নেতা আয়কর আইনজীবী সাকিবুর রহমান, পলাশ, নয়ন, লতিফ, রাজিব, রাশেদ, রকি, কাজল, নয়ন, সালাম, মুক্তার, শুভ, কুমারখালী কৃষক দলের সদস্য হারুন-অর-রশিদ প্রমূখ।
এসময় বিভিন্ন এলাকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে যোগদানকারী ছাত্র-জনতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বক্তরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে আবারও ছাত্র-জনতাকে রাজপথে সামনে থেকে রাষ্ট্র সংস্কারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করার জন্য আহবান জানানো হয়। এছাড়াও দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই মুহুর্ত থেকে আপামরসাধারণকে সোচ্চার করে বানভাসি মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য আর্থিক তহবিল সংগ্রহ করার কথা বলেন।