বীরগঞ্জে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৪:২৬ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৪:২৬ পিএম
বীরগঞ্জে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
মাননীয় জাতিয় সংসদ সদস্য কর্তৃক ধীরেন্দ্র নাথের সুপারিশকৃত অভিযোগ, এখনো আমলে নেয়া হয়নি।
অভিযোগকারী ধীরেন্দ্র নাথ রায় পত্রিকা খুজে না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের দপ্তরে গিয়ে পত্রিকা চাইলেও তিনি দেন নাই এবং বিষয়টি গোপন রাখেন বলে জানান।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নে পাবলিক দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও আয়া দুইটি শুন্য পদ পুরনের জন্য পদক্ষেপ নেন ম্যানেজিং কমিটির পক্ষে প্রধান শিক্ষক। কিন্তু কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য হিসেবে দাবীদার ধীরেন্দ্র নাথ রায় জানান ব্যপক অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন রায়। ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের দাবী প্রধান শিক্ষক সকলের অজান্তে অতি গোপনে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়ে নিজের কাছে ফাইল বন্দী করে রেখেছেন। ফলে এলাকায় কোন প্রকার প্রচার ও প্রকাশ হয়নি। এমন কি কমিটির অনেকেই অবগত নন। অভিযোগকারী ধীরেন্দ্র নাথ রায়  পত্রিকা খুজে না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের দপ্তরে গিয়ে পত্রিকা চাইলেও তিনি দেন নাই এবং বিষয়টি গোপন রাখেন বলে জানান।

এ ব্যপারে ধীরেন্দ্র নাথ রায় দিনাজপুর-১ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব মনোরঞ্জন শীল গোপালের সীল স্বাক্ষর যুক্ত সুপারিশসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বীরগঞ্জ  বরাবর গত ১০সেপ্টেম্বর'২০২৩ বিজ্ঞপ্তি (সার্কুলার) ও নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার আবেদন জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গতকাল সরজমিনে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে প্রধান শিক্ষক তপন রায়ের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন ধীরেন্দ্র নাথ রায়ের অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তিনি ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য নন। আগষ্ট'২০২৩ তারিখে বিধি মোতাবেক জাতীয় লাখো কন্ঠ ও স্থানীয় আজকের প্রতিভা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং প্রার্থীত দুই পদে ৯ জন আবেদন করেছে। যাচাই বাছাই করা হয়েছে। অবিলম্বে পরীক্ষার দিন তারিখ নির্ধারণ করা হবে। 

তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন আমি নিজেই নিয়োগ বাতীল করব, এত মিথ্যা অভিযোগ মেনে নেয়া যায় না। কোন প্রকার অনিয়ম দূর্নীতি হয়নি। প্রধান শিক্ষকের সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি জনাব পুর্ন চন্দ্র সেন। তবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দাতা সদস্য বাবুল রায়সহ স্থানীয় অনেকে। শিবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি কিছুই জানি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে এলাহী এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার আলী শাহ-এর সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন মর্মে নিশ্চিত করেন কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো ঐ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নাই।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo