দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ২টি স্কুলের প্রধান গেট বেরিকেট দিয়ে ১৭ জন শিক্ষক অবরুদ্ধ, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত, অভিভাবকরা আতঙ্কিত। উপজেলার শিবরামপুর উচ্চ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় তথা ২টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই প্রধান ফটক ও যাতাযাত বন্ধ করে ৪ ঘণ্টা ধরে শিক্ষক -কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করেছিল মঞ্জুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা।
পুলিশি হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ। প্রধান শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ উর্ধ মহলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।প্রতিদিনের ন্যায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের শত শত ছাত্রছাত্রী শিক্ষক-কর্মচারীরা একই প্রধান ফটক দিয়ে প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে যাতাযাত করে।
কিন্তু গত ৬ জুলাই’২০২৪ বেলা ৩টার দিকে পরীক্ষা শেষে স্কুলে বাহির হতে গিয়ে দেখতে পান একই এলাকার মরহুম আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে মঞ্জুরে খোদা, হোসেন আলীর ছেলে রউফ, মৃত সোনা মিয়ার ছেলে তাজিমুল ইসলাম, ও মহিবুরের দুই ছেলে মোসাব্বির এবং মুজাহিদ সংঘবদ্ধ দলের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা দূষ্কৃতিরা লাঠিসোটা নিয়ে ত্রাস সৃষ্টি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।ইতোপুর্বে দুষ্কৃতিকারীর দল বাঁশের খুটি পুতে রশি দ্বারা প্রবেশ পথ অবরুদ্ধ করেছিল।
ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ছাত্রছাত্রী অনেক বাড়ি ফিরে। শিক্ষক কর্মচারীরা সীমানা প্রাচীর বিহীন স্কুলে বিকল্প রাস্তায় যাতায়াত এবং ঝুকিপুর্ণ পরিবেশে ভীতির মধ্যে কোন মতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।শিবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনায় গভীর দুঃখ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন সম্প্রতি প্রায় স্কুল গুলোতে বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে। পুর্বে এমন ছিল না।প্রধান শিক্ষক মানিক চাঁদ বর্মন জানান, সুনামধন্য এই বিদ্যাপিঠ উন্নয়নে সার্বক্ষণিক তিনি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ।
কিন্তু সম্প্রতি দুর্বৃত্তের দল মঞ্জুরে খোদার নোংরামিতে মদদ দিয়ে নানা বিশৃংখলা তৈরীর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ৯৯৯ নাম্বারে অভিযোগের ভিত্তিতে বীরগঞ্জ থানার এসআই আনসারুল সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল আসলে দুষ্কৃতিকারীরা অনেকে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমিসহ ১৭জন শিক্ষক -কর্মচারীকে আটক অবস্থা হতে উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
এ বিষয়ে মঞ্জুরে খোদা'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।তিনি বলেন, কোন সংঘাতে জড়াতে চাই না।ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং অফিসার ইনচার্জগনকে জানিয়েছি।
বীরগঞ্জ থানার এস আই আনসারুল সঙ্গীয় পুলিশের সহয়তায় বেরা চাটাই অপসারন করত অবরুদ্ধ মেইন গেট খুলে দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।এ ব্যপারে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে, হুট করে কোন জনগুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাস্তা ঘাট বা মেইন গেট বন্ধ করা একেবারে বেআইনি, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।