বন্যাদুর্গত খামারিদের পুনর্বাসনে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৬:১৯ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর , ২০২৪ ১৬:১৯ পিএম
বন্যাদুর্গত খামারিদের পুনর্বাসনে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার।এ বিষয়ে তিনি বলেন, বন্যাকবলিতদের পুনর্বাসনে শিক্ষার্থীরা মহৎ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মোরগ এবং মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে হস্তান্তর করেছি এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ছিলো। আশা করি সকল মানুষ এই মহৎ কাজে যুক্ত হবেন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী বাছুর, মুরগির বাচ্চা, নগদ অর্থ দিয়ে বন্যাকবলিত খামারিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবেন।

সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার খামারিদের পুনর্বাসনে মোরগ-মুরগি সরবরাহ এবং গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার।এ বিষয়ে তিনি বলেন, বন্যাকবলিতদের পুনর্বাসনে শিক্ষার্থীরা মহৎ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা মোরগ এবং মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে হস্তান্তর করেছি এবং একটি উৎসবমুখর পরিবেশ ছিলো। আশা করি সকল মানুষ এই মহৎ কাজে যুক্ত হবেন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী বাছুর, মুরগির বাচ্চা, নগদ অর্থ দিয়ে বন্যাকবলিত খামারিদের পুনর্বাসনে সহায়তা করবেন।

জানা যায়, ৯ সদস্যের একটি দল গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তন্মধ্যে ৬জন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ান এবং ৩ জন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী রয়েছেন। ভেটেরিনারিয়ান ও বাকৃবির শিক্ষার্থী ডা. মো. উমর ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে আমরা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রায় ৭০টি পরিবারকে ৪টি করে মুরগি এবং ১টি করে মোরগ সরবরাহ করেছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো যেনো এখান থেকে পরবর্তীতে বড় করে মুরগির খামার গড়ে তুলতে পারে।

পাশাপাশি ৯ সদস্যের একটি পশুচিকিৎসক টিম গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তন্মধ্যে ৬জন রেজিস্টার্ড পশু ডাক্তার এবং ৩ জন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী। ফান্ডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে ডা. মো. উমর ফারুক বলেন, মূলত বাকৃবির শিক্ষক - কর্মকর্তা - কর্মচারীদের অনুদানের অর্থ দিয়ে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এছাড়াও বাকৃবির শিক্ষকদের সন্তানরা কিছু অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করেছে। পর্যাপ্ত ফান্ডিং পেলে ভবিষ্যতে আমরা এ কার্যক্রম বর্ধিত করবো।

বাকৃবির আরেক শিক্ষার্থী ও ভেটেরিনারিয়ান ডা. মাশশারাত মালিহা বলেন,  ইতোমধ্যেই বাকৃবির ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন টিম ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা এবং চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ৬ টন গো খাদ্য ও প্রায় ৩৫ কার্টুন মেডিসিন সরবরাহ করেছে। এছাড়া ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্পেইন, অসুস্থ প্রাণিদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান ছাড়াও পরবর্তীতে যেকোনো সমস্যার জন্য টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছে। আমাদের একটাই আহ্বান, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টিকূলের প্রতি সেবার এ মহতী উদ্যোগে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট আমাদের বার্তা হচ্ছে, ভবিষ্যতে মানুষের পাশাপাশি  প্রাণীদের জন্যও আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে, যোগ করেন ডা. মালিহা।বাকৃবির স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থী সুজাউদ্দৌলা সৈকত বলেন, কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে আমরা গবাদিপশুর জন্য চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছি। গবাদিপশুর জন্য আমরা অ্যানথ্রাক্স ও ব্ল্যাক কোয়ার্টার রোগের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি এবং পাশাপাশি ডায়রিয়া ও পরজীবিঘটিত রোগের চিকিৎসা ও প্রদান করে যাচ্ছি।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo