বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৫ মে , ২০২৫ ১৫:২৬ আপডেট: ২৫ মে , ২০২৫ ১৫:২৬ পিএম
বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

নরসিংদীর মাধবদীতে মাদক সেবনের জেরে তুচ্ছ ঘটনার সূত্র ধরে মোঃ শুভ মিয়া (২০) নামের এক যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর ঘটনাটির রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যায় জড়িত তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছে সংস্থাটি।
নিহত শুভ মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার শেখেরচর মোল্লাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত ৬ মে সন্ধ্যার আগে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরদিন ৭ মে সকালে খিদিরপুর টেকপাড়া এলাকার জানের মুখ ব্রিজের পাশে একটি ডোবার ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায় তার নিথর দেহ। শুভর বড় ভাই সাহেদ মিয়া পরে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-১৩, তারিখ: ০৯/০৫/২০২৫, ধারা: ৩০২/২০১/৩৪)।
পিবিআই শুরু থেকেই ঘটনাটি ছায়া তদন্তের আওতায় নেয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতায় জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে তারা। এরপর ২০ মে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর এলাকা থেকে হাবিবুর রহমান (২৪) ও কবির হোসেন (২১) এবং ২১ মে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নায়েরগাঁও এলাকা থেকে আহম্মাদ নাঈম (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।তদন্তে উঠে আসে, নিহত শুভ ও গ্রেফতার তিনজন দীর্ঘদিনের বন্ধু। তারা প্রায়ই একসঙ্গে আড্ডা দিতেন এবং মাদক সেবনে জড়িত ছিলেন। ঘটনার দিন ৬ মে সন্ধ্যায় খিদিরপুর টেকপাড়ায় মাদক সেবনের সময় হাবিব ও শুভর মধ্যে মাদক সংগ্রহ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হাবিব শুভকে কিলঘুষি মারতে থাকে, এতে যোগ দেয় কবির ও নাঈম। পরে পরিত্যক্ত গরু বাঁধার রশি দিয়ে শুভর গলায় পেঁচিয়ে দুই দিক থেকে টেনে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। মরদেহটি পাশের ডোবায় ফেলে দিয়ে, হত্যায় ব্যবহৃত রশিটি পানিতে ছুড়ে ফেলা হয়।
গ্রেফতারের পর হাবিবের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিহত শুভর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। পিবিআই-এর উপ-পরিদর্শক মোঃ আবু সালেক মামলাটির তদন্ত করছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও একজন পলাতক থাকায় তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার মাধবদী শেখেরচরের মোল্লাপাড়ার জাকির হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৪), মাধবদী কুড়েরপাড় এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (২১) ও নরসিংদী পলাশ উপজেলার কুমারটেকের জালাল মিয়ার ছেলে আহম্মাদ নাঈম (২৪)।
পিবিআই জানায়, তারা বিজ্ঞানের সহায়তা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে ঘটনাটির জট খুলে ফেলেছে। বাকি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতেও তারা তৎপর রয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo