ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ;কিশোরের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ৯ মে , ২০২৪ ১১:১১ আপডেট: ৯ মে , ২০২৪ ১১:১১ এএম
ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে প্রবেশ;কিশোরের হাত-পা বেঁধে ডাকাতি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে কিশোরের হাত-পা বেঁধে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে বুধবার (৮ মে ) সকাল ১১ টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে কিশোরের হাত-পা বেঁধে দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে বুধবার (৮ মে ) সকাল ১১ টা নাগাদ এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।সরেমজিনে জানা যায়, গৃহকর্তী মুক্তা বেগম হামছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। স্বামী জাহাঙ্গীর রামগঞ্জ উপজেলাধীন চৌধুরী বাজারে একটি ব্যাংকে চাকুরীর সুবাদে সেখানেই ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন সকালে তার কিশোর ছেলে মেজবাহ আলম (১৪) কে বাড়িতে রেখে বিদ্যালয়ে চলে যান। দুপুরে বাড়িতে এসে দেখেন তার বসতঘরের সকল আসবাবপত্র এলো মেলো অসবস্থায় পড়ে আছে।এসময় ঘরের আলমিরার কাছ থেকে তাঁর ছেলের হাত-পাঁ বাঁধা ও মুখে গামছা দেয়া অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার শিকার ওই শিক্ষকের ছেলে মেজবাহ আলম জানায়,সকালে ডাকাতরা ঘরের সামনে এসে বলে কে আছেন ঘরে,আমি বিতর থেকে বলছি কে? পরে তারা বলছে পুলিশ। আমি দরজা খুলে দিলে তারা বলে আমাদের বাবার ডয়েরে নাকি ফাইল আছে। এসময় আমি বলি আমার মাকে বলে আসি, এ কথা বলার সাথে সাথে তাঁরা ঘরে ঢুকে আমার হাতে-পায়ে ও মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে এক রুমে ফেলে রাখে। তাদের গায়ে পুলিশের পোশাক ও কোমরে পিস্তল ছিল।গৃহকর্তী মুক্তা বেগম বলেন, আমি বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে এসে দেখি আমার ছেলের হাত-পাঁ বাঁধা ও মুখে গামছা দেয়াবস্থায় পড়ে আছে। ডাকাতরা আমার ঘরে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকমাস পূর্বে আমার বাসায় একবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এখন আবার এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, খবরর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছে। আমরা চাই ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রকৃত পুলিশ।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.বুলবুল আহমেদ বলেন, যে পরিচয়ে অপরাধ সংগঠিত হয় এটি একবারেই দুঃখজনক। আশা করি তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে পুলিশ।

গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফরিদগঞ্জ-হাজীগঞ্জ) সার্কেল পংকজ কুমার দে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo