চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা এখন অরক্ষিত এক জনপদ। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর উত্তেজিত জনতা কর্তৃক বিভিন্ন বাসা বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যকে থানায় দেখা যায়নি। তবে সোমবার গভীররাতে সেনাবাহিনীর একটি টহল গাড়ি এসে থানার অস্ত্রাগার থেকে কিছু অস্ত্র–গুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অফিস আদালত খোলা থাকলেও নির্দেশনা থাকলেও কোন কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) উপজেলা সদরের বিভিন্ন অফিস পাড়া ও মফস্বল এলাকা ঘুরে দেয়া যায় এমন চিত্র। সোমবার রাতে উপজেলার চরদু:খিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের বিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে লুটপাট, ভাংচুর ও আগুণ দেয় দুর্বৃত্তরা।এছাড়া পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সাবেক মেয়র মাহফুজুল হক,প্যানেল মেয়র আ: মান্নান পরানের বাড়িতে ভাংচুর,অগ্নীকান্ড ও লুটপাট করা হয়েছে, সমিল মালিক সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ও গাড়ী ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা।
পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের আছৎকুয়ারি গ্রামে কমল নামে এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাংচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। এছাড়া গুপ্টি বাজার, খাজুরিয়া বাজার,রূপসা বাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন এলাকাতে হামলা ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলাটি এক অরক্ষিত জনপদে পরিনত হয়েছে।এদিকে দুর্বৃত্তরা পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী ওনুআ চত্বরের ওনুআ ভাষ্কর্যটি ভেঙ্গে ফেলে । এছাড়া বাসস্ট্যন্ড এলাকায় পুলিশ বক্স ভেঙ্গে ফেলা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানায় হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনার থানা এলাকা পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে। সোমবার গভীর রাতেসেনা বাহিনীর একটি টহল টিম থানার অস্ত্র সমূহ নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যায়।অন্যদিকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে সকল অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানখোলা থাকলেও ফরিদগঞ্জে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।ফরিদগঞ্জ থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে থানা পুলিশ চাঁদপুর পুলিশ লাইনে অবস্থান গ্রহণ করেছে।ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডল বলেন,নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বাসভবনে অবস্থান গ্রহণ করছি।
জাকির হোসেন সৈকত 
