প্রবল বর্ষনে জামালপুর জেলায় বোরোধান কাটা ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২১ মে , ২০২৫ ১৪:২৭ আপডেট: ২১ মে , ২০২৫ ১৪:২৭ পিএম
প্রবল বর্ষনে জামালপুর জেলায় বোরোধান কাটা ব্যাহত

জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে, ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে চাষীদের। বাকী ধান ঘরে তোলার শঙ্কা কেননা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের বোরো ধান। নিরুপায় হয়ে আধা পাকা ও কাঁচা ধানই কাটতে হচ্ছে চাষীদের। কয়েকদিনের অতি বৃষ্টির কারণে শুকাতে পারছেন না ধান ও খর এতে চরম দুর্ভোগ চাষীদের।সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার জিঞ্জিরাম ও দশানী নদীর আশপাশের বোরো ধানক্ষেতে পানি উঠেছে। কিছু ক্ষেত্রে পানি উঠে ধান প্রায় তলিয়ে যাচ্ছে। তাড়াহুড়ো করে কাঁচা ধান কাটতে দেখা গেছে চাষীদের। এদিকে চড়া মূল্যেও মিলছে না ধান কাটার শ্রমিক। এমন অবস্থায় বিপাকে ধান চাষীরা। বিশেষ করে নামা অঞ্চলে ধান চাষীরা পড়েছেন কঠিন বিড়ম্বনায়।ভুক্তভোগী চাষীরা জানান, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি থেকে এ বন্যা। এখন যদি ধান না কাটি তাহলে ফসল একেবারে নষ্ট হবার আশংকা রয়েছে। তাই জলদি করে পানির মধ্যেই ধান কাটছি। দেখা গেছে ধানের আবাদে যে টাকা খরচ হয়েছে এটা ঘরে তুলতে তার চেয়েও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। একজন শ্রমিকের মজুরি একমণ ধান বিক্রি করেও হচ্ছে না। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে যাতে আমরা ধান বিক্রি করতে পারি সেই আহবান জানাই।দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ বলেন, হটাৎ ভারী বর্ষনে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধান তলিয়ে যাচ্ছে। তবে তা পরিমাণে কম। যেহেতু ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। আমাদের কৃষি অফিস টিম মাঠে কাজ করছে। চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। এবারের মৌসুমে ৭ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে এবং উৎপাদন হতে পারে প্রায় ৪৫ হাজার ৫০০ টন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo