প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মত কিছু লোকদের দরকার পড়ে..বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৪ জুন , ২০২৪ ১০:৪১ আপডেট: ৪ জুন , ২০২৪ ০৪:৪২ এএম
প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মত কিছু লোকদের দরকার পড়ে..বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী
যশোরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকার গঠন করেছেন। উনার ভোট লাগে না, নির্র্বাচন লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে এমপি নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গ ভবন থেকে শেখ হাসিনা যে তালিকা দেন, সেটাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন প্রকাশ করবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বিধান, এটাই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মত কিছু লোকদের দরকার পড়ে ।

যশোরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকার গঠন করেছেন। উনার ভোট লাগে না, নির্র্বাচন লাগে না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে এমপি নির্বাচন পর্যন্ত বঙ্গ ভবন থেকে শেখ হাসিনা যে তালিকা দেন, সেটাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিন প্রকাশ করবেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এটাই হচ্ছে বিধান, এটাই শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রীর জনগণের দরকার পড়ে না, বেনজির আজিজদের মত কিছু লোকদের দরকার পড়ে ।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান বীরউত্তম- এর ৪৩ শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জেলা বিএনপি আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন । গতকাল সোমবার বিকেলে শহরে বিডি হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম সভাপতিত্ব করেন।

আলোচনা সভায় অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে  নিয়ে শয়নে স্বপনে প্রতিনিয়ত অপ্রচার বিষাদাগার করেন। তাতে জনগণের কিছু আসে যায় না।   জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা আপনি প্রধানমন্ত্রী অস্বীকার করতে পারেন, আপনি স্বামী তো অস্বীকার করেনি। আপনার সরকারের মন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলাম, এ কে খন্দকার, আপনার সরকারের এমপি মেজর জেনারেল সুবেদ আলী ভুইয়া তিনিও অস্বীকার করেননি। তারা তো ঠিকই তাদের বইয়ে লিখেছেন, জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষক। সুতরাং আপনি( প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) না বললে কি হবে, আপনি তো মুক্তিযুদ্ধে যাননি । এমনকি আপনার স্বামী তখন বয়সে তরুন তাকেও মুক্তিযুদ্ধে যেতে দেননি। আপনি মুক্তিযুদ্ধ একটা মার্কেটিং হিসেবে ধরেছেন। আপনি মার্কেটিং করার জন্য এবং নিজে মুক্তিযুদ্ধের লোক এটাকে প্রচার করার জন্য আপনি মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ করেন। পারিবারিক ভাবে রাজাকারের দুর্মান ঘোচাতে আপনার দলের অনেকে ছাত্রলীগ করে, এখন তারা জাতীয় পর্বে গুরুত্বপূর্ণ পদেও আছে। সুতারাং শেখ হাসিনাও একই, ৭১-এ উনার কোন ভূমিকা নেই। উনি স্বামীকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে যেতে পারতেন। বরং এটা শুনেছি সেদিন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আপনার পরিবার ভাতা পেত। এজন্য ক্ষোভ বিদ্বেষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম প্রতিরোধকারী জিয়াউর রহামনের বিরুদ্ধে আপনার এতো অপ্রচার।

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর পিতা ( প্রধানমন্ত্রীর পিতা) এদেশের জমিদার, সে জমিদার কন্যা, উনি ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ রাজনীতি করবে না । এ ধরণের একটি জিঘাংসা , বিদ্বেষ ও আধিপত্য মূলক মনোভাব থেকে তাদের যত ভাবনা চিন্তা। ক্যান্টনমেন্ট থেকে তৈরি হয়েছে বিএনপি, জিয়াউর রহমান ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিএনপি তৈরি করেছেন। ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রী  আপনার যদি মনে না থাকে, তাহলে আপনার ডানে বামে বাস ওবায়দুল কাদের, হাসান মাহমুদ, তোফায়েল আহমেদের কাছে জিজ্ঞেস করেন, ১৯৭৮ সালের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী জোটের প্রার্থী ছিলেন জিয়াউর রহমান। আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১০ দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন কর্ণেল ওসামানী। তখন আপনি সেনা বাহিনীর কর্মকর্তার কাছে স্মরণাপন্ন হলেন, দলের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন দিলেন, তখন লজ্জা হয়নি। তখন কি ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে এসেছিলেন? তখন সরণাপন্ন হওয়া যায়, আর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এদেশের ক্ষমতার পাদ প্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছেন এটাই কি তার অপরাধ?

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কোন রাজনৈতিক দল বন্ধ করেন নি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন, যে আপনার পিতা ( প্রধানমন্ত্রীর পিতা)  দেননি, আপনি দি”েছ না। হেরে যাওয়ার ভয়ে আপনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দি”েছন না। আজকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে রাজনীতিক দলকে কথা বলতে হয়। আবার সংবাদপত্র গুলো সবকথা ছাপাতে পারে না, ছাপাতে ভয় পায়। বিশ্বের ভিন্ন দেশ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর যে ইনডেক্স তৈরি করে। সেখানে তারা তুলে ধরছে বাংলাদেশে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা কতটা নিচে অব¯’ান করছে। অনেক মুক্ত মনের সাংবাদিক আজ সরকারের তৈরি ডিজিটার নিরাপত্ত আইনের বেড়াজালে কারাবন্দী আছেন। কেবলমাত্র সত্য কিংবা মুক্ত মনে লেখার কারণে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অতি অল্প সময়ে দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন। তার বর্ণনা করা বেশ কঠিন।  যারা জনগণ, সততা, ন্যায়ের পক্ষে কাজ করেন তারা অল্প সময়ে অনেক কিছু করতে পারেন। জোর করে তাদের ক্ষমতা নিতে হয় না, জোর করে তাদের ক্ষমতায় রাখা যায় না।   জিয়াউর রহমান

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ)  অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বা¯’্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ( খুলনা বিভাগ)  জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ- ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ- স্বা¯’্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী,  অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল হোসেন আজাদ , সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি প্রমুখ।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন আলোচনা সভা পরিচালনা করেন।  সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুসা,অ্যাড. মো. ইসহক,  মিজানুর রহমান খান,  আব্দুস সালাম আজাদ,  মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo