ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরভেলামারী এলাকায় ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকার পরিবর্তনের পর ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে সরকারী ভাবে তুলে রাখা বালু, মাটি গত ২মাস পূর্বে সরকারী রাজস্ব বা ইজারা ডাকের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। ডাক পাওয়া ইজারাদার ইজারায় নেওয়া বালু বিক্রির পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের দাবী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে কিনা জানে না ! চরভেলামারী বালুর ঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে নৌকা দিয়ে ভোর সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নৌকা দিয়ে চলে অবৈধ বালু উত্তোলন। নিজেদের ইচ্ছা মতো বালু উত্তোলন করছে ইজারাদারের লোকজন। অবস্থা অনেকটা মগের মুল্লুকের মতো। কিন্তু কারও যেন কিছু দেখা বা বলার নেই। নদীতে ড্রেজার মেশিন ও নৌকা দিয়ে যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর পানির গতি পরিবর্তিত হয় এবং পাড় ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। একদল সুবিধাবাদী চক্র ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে অবৈধভাবে কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। নদ/নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ও প্রকৃতির তি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বালু ইজারাদার বিল্লালের নেতৃত্বে জিয়া, তফাজল, সুমন, খলিল, কামরুল, ফয়েজ, কবির সহ একটি চক্র চরভেলামারীর অদুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ড্রেজার মেশিন ও নৌকার শ্রমিক দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে অবৈধ ব্যবসা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঘাটের দায়িত্বে থাকা শামসুদ্দিন বলেন, শুধু মাটি বিক্রি করা যায় না। তাই নৌকা ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে কিছুদিন যাবত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাছাড়া বালুর ইজারাদার একা না এ কাজে সবাইকে সম্পৃক্ত করেই বালু উত্তোলন করছি।’ স্থানীয়রা জানান, গুটি কয়েক লোকের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করারও দাবী জানান। এবিষয়ে বালু ঘাটের ইজারাদার বিল্লাল জানান, ভেট আইটি সহ ৭০ (সত্তর) ল টাকা বালুর ঘাটের দুইটি পয়েন্ট ইজারা নিয়েছি। তাছাড়া আমার পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উঠাই না। ঈশ্বরগঞ্জ থেকে নৌকায় বালু এনে এখানে নামানো হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। তদন্ত সাপেে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি জানিনা। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।