তামাককে লাল কার্ড প্রদর্শন করে ‘না“ বলে তামাক মুক্ত থাকবে বলে শপথ নিয়েছে যশোরের ৬টি স্কুলের তিনশত শিক্ষার্থী। যশোর জেলা প্রশাসন ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে কালেক্টরেট চত্বরে শুক্রবার তামাক মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে এ শপথ নেয় তারা।
শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। জেলা প্রশাসকের সাথে শিক্ষার্থীরা শপথ বাক্যে বলে, আমি শপথ করছি যে, তামাকের বিষ থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিজনকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখবো। তামাক পণ্য সেবনের ভয়াবহতা সম্পর্কে নিজে জানবো এবং অন্যকে জানাবো। হে সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন আমি যেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গঠ^নে অবদান রাখতে পারি। আমিন।
এরপর প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) এসএম শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল, সংবাদ পত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা, সহকারী কমিশনার মাহিন দায়ান আমিন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন, জেলা যুব উন্নয়ণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা,শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যশোর সরকারি বালিকা উ”চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আহসান হাবীব পারভেজ।
র্যালিটি কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু হয়ে দড়াটানা হয়ে কালেক্টরেট চত্বরে এসে শেষ হয়।র্যালি শেষ কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন,সহকারী কমিশনার মাহিন দায়ান আমিন। এসশয় বক্তব্য রাখেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন,সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ, সংবাদ পত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাক্তার দীপঙ্কর দাশ প্রমুখ। আলোচনা শেষে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজের হাতে সিল তুলে দেয়া হয়। তাতে লেখা আছে ধুমপান মুক্ত থাকবো। ওই সিল তিনি ডাক্তারদের দেবে। তারা রোগীর প্রেসক্রিপশনে ঔষুধ লেখার সময় সিল মেরে দেবেন। সেই সাথে নিজ ক্যাম্পাস ধুমমুক্ত লেখা স্ট্রীকার সরকারি কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করা ৭স্কুল হচ্ছে, জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট, নবকিশলয়, মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরী, মুসলিম একাডেমি, বাদশাহ ফয়সল ইসলামী ইন্সটিটিউট ঈদগাহ।