জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ (এএম) কলেজ থেকে মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া ১৭৪ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা হয়।কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি এখনো স্পষ্ট নয়। শিক্ষার্থীরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়, কিন্তু শিক্ষক হতে চায় না—এমন মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “বিশ্বনাগরিক হওয়ার কথা বললেও নানা প্রতিবন্ধকতায় আমরা শিক্ষার্থীদের সেই প্ল্যাটফর্মে নিতে পারছি না। অভিভাবকদের সচেতনতা এবং প্রতিষ্ঠানের যত্নই শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বের মূল ভিত্তি।”সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, “এম কলেজ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের এবং তাঁদের অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কলেজের সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও যত্নশীল পাঠদানের কারণেই এই সাফল্য এসেছে।”অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এ কে এম আলিফ উল্লাহ আহসান, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাহিমা সুলতানা, কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুল ইসলাম আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়িতা অধিকারী, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোজাম্মেল হক ও জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল রেদোয়ান ফুয়াদ।এছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৭৪ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদেরই সংবর্ধনার আওতায় আনা হয়।ঢাকা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান প্রভা বলেন, “আমার এই অর্জনের পেছনে বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। স্যারেরা ক্লাসে যেভাবে পড়াতেন, মন দিয়ে শিখতাম। কখনো পড়াশোনায় ফাঁকি দেইনি। আজকের এই সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।”