চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার আওতাধীন একটি জুয়ার ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে জুয়া খেলার আয়োজক দুই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩২ জনকে আটক করা হয়।
নগরীর ওয়াসার মোড়স্থ মুনতাসির টাওয়ারের ৭ম তলায় অবস্থিত পাহাড়তলী ক্লাব নামের আড়ালে নিয়মিত বসেছিলো এই জুয়ার আসর। পুলিশের আকষ্মিক অভিযানে এসময় জব্দ করা হয় জুয়া খেলার সরঞ্জাসহ নগদ টাকা।গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে খুলশী থানা পুলিশ এই অভিযান চালায়।
খুলশী থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রাতে খুলশী থানার ওসি শেখ নেয়ামত উল্লাহ'র সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকার একটি ভবনে জুয়ার আসরে অভিযান চালানো হয়ছে। অভিযানে ৩২ জনেকে আটক এবং জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে৷ তবে স্থানীয় এলাকাবাসীর সুত্রে জানাযায় ,আটককৃত ৩২ জনের তালিকায় স্থানীয়।
লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান (৫০) ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য বিশ্বজিৎ চৌধুরীও রয়েছে ৷নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান তারা উভয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন ব্যাক্তি।অভিযোগ আছে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে মিজানুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ এই জুয়ার ক্লাব পরিচালনা করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বেও তিনি একবার এই জুয়ার আসর থেকেই গ্রেফতার হন৷ কিন্তু প্রভারশালীদের হস্তক্ষেপে দ্রুত ছাড়া পেয়ে আবারো জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে৷
এই বিষয়ে লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিদ্দিক আহমেদ এই প্রতিনিধিকে বলেন, এদের কারণে সংগঠনের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে৷ আজকেই আমরা বর্ধিত সভার আহবান করেছি৷ সেখানে এই দুজনের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে৷ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম জানান, আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এসব জুয়া-ক্যাসিনো বন্ধে দেশব্যাপি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন৷ সুতরাং, এসবের জুয়ার সাথে সংগঠনের কেউ সম্পৃক্ত থাকলে তার দায় সংগঠন বহন করবে না৷ আমরা সাংগঠনিক ভাবেও অভিযুক্তদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো৷