করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে জামায়াত ইসলাম

গৌরব কুমার দাস প্রকাশিত: ২৬ মার্চ , ২০২৫ ১২:২৭ আপডেট: ২৬ মার্চ , ২০২৫ ১২:২৭ পিএম
করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে জামায়াত ইসলাম
করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার নেতৃবৃন্দ

করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাটে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার নেতৃবৃন্দ । ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্মরণকালের ভয়াবহ নৌকাডুবিতে মা-বাবা হারানো ছোট্ট দিপু রায়ের  পরিবারকে প্রতিশ্রুত মাসিক ১০ হাজার টাকার অনুদান সহায়তা দিতে ছত্রশিকারপুরে দিপুর বাড়িতে সোমবার (২৪ মার্চ)  জেলা আমীর মাওলানা ইকবাল হোসাইন সহ পঞ্চগড় জামায়াত ইসলামের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।  জামায়াত নেতা সফিউল্লাহ সুফি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পঞ্চগড় জেলা সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়া, বোদা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল বাসেত, দেবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল হালিম, সেক্রেটারি বেলাল হোসেন, দিপুর বড়ভাই দিপন রায়, পরিতোষ রায় ও পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৫ বছর বয়সি দিপুর লেখাপড়াসহ যাবতীয় দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন  জামায়াত ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে মহালয়া উৎসবে অংশ নিতে বোদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বোদা উপজেলার মাড়েয়ার আউলিয়া ঘাটে করতোয়া নদীতে নৌকায় উঠে মা-বাবার সাথে যাচ্ছিল তিন বছর বয়সী দিপুও। কিন্তু ওপার ঘাটে না যেতেই নৌকা ডুবিতে প্রাণহানি ঘটে এক নিখোঁজসহ ৭২ জনের। সেদিন ভাগ্যক্রমে দিপু বেঁচে গেলেও জীবিত ফিরেনি বাবা-মা। এ ঘটনায় ঘাট থেকে একদিন পর দিপুর মা রূপালী রানী ও তারো প্রায় দেড় মাস পর বাবা ভূপেন্দ্রনাথ রায়ের লাশ করতোয়া নদীতে  উদ্ধার করা হয়। 

সেই মর্মান্তিক নৌকা ডুবির ঘটনার তিনদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন জামায়াতের আমির ডা.শফিকুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাত করে সমবেদনা জ্ঞাপনসহ প্রত্যেক নিহতের জন্য ৩০ হাজার টাকা  অর্থসহায়তা দেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও পরিবারগুলোর সঙ্গে সাক্ষাত করে আরও ৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেন।

সেদিন ছোট্ট দিপুকে কোলে নিয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব নিতে চাইলেও  তৎকালীন সংসদ সদস্যর কারনে জামায়াতের পক্ষে  দিপুর দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় সম্ভব হচ্ছিল না। এখন থেকে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত  বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের পক্ষথেকে দিপুকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হবে বলে ডঃ শফিকুর রহমান ঘোষণা কেরেছিলেন। 
এ প্রেক্ষিতে প্রথম মাসের ১০০০০ টাকা দিপুকে দেয়া হলো বলে  জেলা নেতৃবৃন্দ জানায়।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo