ইতালি যাওয়ার পথে প্রাণ যাওয়া রাজৈরের ৫ যুবকের পরিবারে শোকের মাতম

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:১৯ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:১৯ পিএম
ইতালি যাওয়ার পথে প্রাণ যাওয়া রাজৈরের ৫ যুবকের পরিবারে শোকের মাতম
মাদারীপুরের রাজৈরের ৫ যুবক অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালী যাবার সময় নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে । যুবকদের মৃত্যুর খবরে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আদরের সন্তানদের হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবার। কোন শান্তনাই থামাতে পারছে না স্বজনদের এ আহাজারি। মরদেহ দেশে আনার একমাত্র দাবি স্বজনদের।

মাদারীপুরের রাজৈরের ৫ যুবক অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালী যাবার সময় নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে । যুবকদের মৃত্যুর খবরে পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আদরের সন্তানদের হারিয়ে এখন দিশেহারা পরিবার। কোন শান্তনাই থামাতে পারছে না স্বজনদের এ আহাজারি। মরদেহ দেশে আনার একমাত্র দাবি স্বজনদের।

এই ঘটনায় স্বজন ও এলাকাবাসী দাবি করেছেন দালালের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করছেন। পুলিশ বলছে, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।জানা গেছে, আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার থেকে ইউরোপে পথে নৌকায় পাড়ি দেওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে ৮ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এদের পরিচয় প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে। এই খবরে শুনে নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তাদের আদরের সস্তান আর কোনোদিন ঘরে ফিরবে না, এই শোক কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। আজাহারীতে ভারি হয়েছে চারপাশের পরিবেশ।এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য থেকে জানা যায়, নৌকায় চালকসহ ছিলেন ৫৩ জন। এদের মধ্যে ৮ বাংলাদেশি মারা গেছে। যাদের ৫ জনের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈরে। নিহতরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগী, একই উপজেলার পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, ইউসুফ আলির ছেলে মামুন শেখ, কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব ও কায়সার।স্বজনরা জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়।

তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগর নৌকার ইঞ্জিন ফেটে যায়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ব্যাংক ঋণ ও সুদে এনে দালালদের দেয়া টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্বজনরা।একাধিক স্বজনদের অভিযোগ, মানবপাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশারফ কাজী ইতালী নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয় ১৩-১৫ লাখ টাকা। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ইতালী পাঠালে ঘটে এই দুর্ঘটনা। এই কাজে সহযোগিতা করে মোশারফের ছেলে যুবরাজ কাজী। এমন ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। দালাল কঠিন বিচার চাই। মরদেহ ফেরত আনা ও দালালের শাস্তির দাবি স্বজনদের।মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, নিহতদের পরিবার মামলা করলে পুলিশ সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo