স্টাফ রিপোর্টার(নারায়নগঞ্জ)
বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে । স্থানীয়রা জানান, হাজী সেলিম সরকার রেলওয়ে জায়গায় বালু বরাট ও পিলার দিয়ে বেড়া দিলে, নয়াপুর বাজার কিমিটি লোকজন সহ আতিকুর রহমান বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, পরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাজার কমিটি পক্ষে লোক আতিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে হাজী সেলিম সরকার কে ধাক্কা দেয়, সেলিম সরকারে হাতে ও পায়ে আগাত পায়, পরে সেলিম সরকারের লোক ক্ষিপ্ত হয়ে আতিকুল রহমানে উপর কিল ঘুষির মাধ্যমে আহত করে ।
গতকাল শনিবার বেলা ১২ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরী কাদিরগঞ্জ এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদরা আমাদের তাজ।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সোনারগাঁও সরকারি কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মিছিল নিয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেলে উপজেলার স্থানীয় স্বনামধন্য রয়েল রির্সোটে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভা করেন তিনি।মত বিনিময় সভায় মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সোনারগাঁ গড়ে তোলা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে সমন্বয় করে সোনারগাঁয়ের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গিকার করেন মাহফুজুর রহমান কালাম ।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, জাতীয় মহিলা সংস্থা সোনারগাঁ শাখার চেয়ারম্যান রুবিয়া সুলতানা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামলী চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
গত রবিবার রাতে পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারি শাহ আলম মাদক ব্যবসায়ী রাব্বীকে সঙ্গে নিয়ে মাদকের পাওনা টাকা আনতে বাড়িমজলিস এলাকায় যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বাড়িমজলিস গ্রামের মৃত আফজালের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরাফাত হোসেনের (২৫) নেতৃত্বে ১৫-২০জন মাদক ব্যবসায়ী নিহত রাব্বী ও শাহ আলমের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা আহতদেরকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাব্বীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এছাড়াও শাহ আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানাজা শেষে বন্দরের মুরাদপুর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তাদের নিয়ে অবস্থান করে। বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে গত শুক্রবার ১১টার দিকে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০-১২জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনুর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা মনুর ঘরে ঢুকে তাকে টেনে হেচড়ে করে উঠানে এনে মাথায় পিস্তুল ঠেকিয়ে গুলি করে মাটিতে ফেলে এবং একজন তার মাথায় বসে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ সময় নিহত মনুর মেয়ে মীম আক্তার মোবাইল দিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। যা পরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।