শেরপুর জেলায় ৮৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সারাদেশের মতো শেরপুরের ওই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে কোভিড-১৯ ইমারজেন্সী রেসপন্স এন্ড পেনডেমিং রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় জেলা সদর হাসপাতালে ২০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট ও ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসিউ ইউনিট স্থাপন এবং একই হাসপাতালে মেডিকেল গ্যাস পাইপ লাইন সিস্টেম স্থাপন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ৩৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭টি সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে মুজিবকিল্লা নির্মাণসহ বন্যা ও নদীভাঙন এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। এদিকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে শেরপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক(উপসচিব) তোফায়েল আহমেদ, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপসচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুকতাদিরুল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলাম, শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য, জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস, শ্রীবরদী পৌর মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ যুক্ত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমসহ অন্যান্যরা জেলা সদর হাসপাতালে স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিট ও আইসিইউ ইউনিট, সদর উপজেলার খুনুয়া এলাকায় নির্মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, শ্রীবরদীর কাজীরচর এলাকায় নির্মিত মাদ্রাসা ভবন ও সদরের কামারেরচর এলাকায় নির্মিত মুজিবকিল্লা পরিদর্শন করেন।