শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিকভাবে পার্বত্য অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা
পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা ও প্রযুক্তির বিস্তার অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সম্পদে ভরপুর পার্বত্য জেলাগুলো দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় অঞ্চল। কিন্তু সংযোগ ও প্রযুক্তির অভাবে এগুলো পিছিয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই দূরত্ব দূর করা সম্ভব।নারী ফুটবল দলের সাফল্যে পার্বত্য অঞ্চলের খেলোয়াড়দের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আপনাদের এলাকার মেয়েরা বিশ্বমঞ্চে জয় করেছে। তাদের অসাধারণ প্রতিভা প্রমাণ করে পার্বত্য অঞ্চলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের প্রতিভা দিয়ে তারা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরতে পারে।উন্নয়নের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে স্থানীয় পণ্যের বাজারজাতকরণ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারের উপর জোর দেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও ফসলের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।জানুয়ারিতে তারুণ্যের উৎসবে পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আপনাদের শিশুদের, তরুণদের এ উৎসবে যোগ দিতে উৎসাহ দিন। স্থানীয় খেলা হোক, রচনা প্রতিযোগিতা, গান-নাচ তারা যা পারে, যা চায় তা নিয়ে যেন অংশ নেয়। এটা সবার উৎসব। উৎসবটি বৈচিত্র্যময় হোক। সরকারি নির্দেশ, তাই অংশ নেবে এরকম না। তাদেরকে আপনারা উৎসাহ দিন, যেন নিজ থেকেই তারা উদ্যমী হয়ে এ উৎসবে অংশ নেয়।পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও সঠিক পদ্ধতি, প্রশিক্ষণের গুরুত্ব নিয়েও কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক কঠিন সংকটে আছে। আপনাদের অঞ্চলে এটা আরও বেশি কঠিন। শিক্ষকদের কষ্ট হয়, ছাত্রছাত্রীদের কষ্ট হয়। অনিয়মের পরিমাণ সারা বাংলাদেশে আছে, আপনাদের অঞ্চলে আরও বেশি করে আছে। আপনাদের পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে হবে। আমরাও চেষ্টা করব রাষ্ট্রীয় দিক থেকে কীভাবে কী করা যায়। পার্বত্য জেলার তরুণরা দুর্গম অঞ্চলে আছে বলে বড় শহর থেকে লেখাপড়ায় পিছিয়ে থাকবে, সেটা হতে দেওয়া যাবে না। লেখাপড়ায় তাদের এগিয়ে যেতে হবে।