জুলাই ও আগস্টে নিহতদের স্মরনে যশোর জেলা পর্যায়ে আগামী ৩০ নভেম্বর স্মরণ সভার আয়োজন করা হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমিতে নানা আয়োজনে বড় আকারে এ স্মারণ সভা করা হবে।জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ সভাবুধবার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত শহীদ স্মরণসভা বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, নতুন বাংলাদেশ করতে জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা আহত ও নিহত হয়েছে তাদের স্মরণ সভা সুন্দর ভাবে করা হবে। এ সভা করা হবে বড় আকারে। অনুষ্ঠানে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতে হবে স্মরণ সভা। শুধু স্মরণ সভা করলে হবে না স্বৈরাচারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। স্মরণ সভা প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন, ছবি ও লেখা সম্বলিত প্রকাশনা প্রকাশ করা হবে। নিহতদের কবর বাধাই করে নাম ফলক নির্মান করা হবে। স্মরণ সভায় যে লেখা পাওয়া যাবে, সেই লেখা নিয়ে স্মরনিকা প্রকাশ করা হবে।তিনি বলেন যতদিন প্রয়োজন আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আহতদের পরিবারের পাশে থাকবো।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, শিল্পকলা একাডেমিতে স্মরণ সভা করা হবে। এর বাইরেও বসা ও মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। শিল্পকলা একাডেমির ভেতরের দেয়ালে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতের ছবি টাঙ্গানো হবে।সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে যশোরে নিহত ২৬ জন ও আহত ২৮ জন নিশ্চিত করা গেছে। এর বাইরে আরো আহতরা থাকতে পারে। তাদের তালিকা ভুক্ত করতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকতে হবে। কারন চিকিৎসা নেয়ার সময় হাসপাতালের খাতায় শুধু নাম রেখা হয়েছে। তাদের মোবাইল নম্বর না থাকায় খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য সঠিক তালিকা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত ও আহদের ছবি দেয়ার পাওয়ার জন্য বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সাথে নিহতদের খবর বাধাই করে নাম ফলক দেয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।জেলা জামাতের আমির গোলাম রসুল বলেন ২৬ বছরের ক্ষোভের বহি প্রকাশের অভ্যত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। ছাত্রদের ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে এটা সম্ভব হয়েছে। এদের যাতে কেউ ভুলে না যায়, এজন্য সুন্দর ভাবে স্মরণ সভা করতে হবে। প্রতি বছর স্মরণ সভা করার পস্তাব রাখেন তিনি।জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার খোকন বলেন, সকলে দায়িত্ব নিয়ে স্মরণ সভায় নিহক ও আহতের পরিবারের সদস্যদের আনতে হবে।প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন অনুষ্ঠানে কোন প্রধান অতিথি থাকবে না। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে বক্তারা বক্তব্য রাখবেন। এজন্য ব্যানারে কোন নাম থাকবে না।প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সহসভাপতি নুর ইসলাম বলেন,স্বৈরাচারদের সমর্থকদের বাদ দিয়ে স্মরণ সভা করতে হবে।সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব মা তাদের সন্তানকে অনুপ্রেরিত করেছেন। যেসব সাংবাদিক ভুমিক রেখেছেন তাদেরকে স্মরণ সভায় পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরে প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, গণ-অভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। স্বৈরাচারদের ১৬ বছরে কোন স্বাধীনতা ছিল না। তাদের সমর্থক ছাড়া কেউ চাকরি পায়নি। এর বাইরে মানুষ নিষ্প্রেষিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গনঅভ্যত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারদের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এ রাষ্ট গঠনে সারা দেশে ১ হাজার ৫শ শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছ্ েআহত হয়েছে অসংখ্য। যশোরে আওয়ামীলীগের বাধার মুখে অনেকে নির্যাতিত হয়েছে। এখনও পুর্নাঙ্গ তালিকা করতে পারিনি। তারিকা তৈরির কার্যক্রম চলছে। এছাড়া স্মরণ সভা থেধকে বৈষ্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ , পরিবারের সদস্যদের বিশেষ সমমাননা দেয়া, প্রতি মাসের পরিকল্পনার অগ্রগতি বিষয়ে পত্রিকা প্রকাশ। এমন ভাবে সংস্কার করতে হবে, যাতে সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি দুর হয়। জাতীয় চার নেতার যেমন স্মুতি স্ভম্ভ আছে। তেমনি ভাবে এমন কিছু করতে হবে যাতে করে আগামী প্রজন্ম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদেরকে মনে রাখে সেই প্রস্তাব দেয়া হয়। এমনকি পরিবারের সদষ্যদের বিশেষ সমমাননা দেয়ার প্রস্তাবও রাখা হয়।