ফরিদপুরে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় এলাকা ছাড়া কিশোরীর পরিবার

নাজিম বকাউল প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর , ২০২৪ ১২:০৪ আপডেট: ১২ অক্টোবর , ২০২৪ ১২:০৪ পিএম
ফরিদপুরে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় এলাকা ছাড়া কিশোরীর পরিবার
ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক কিশোরীকে (১৩) জোড়পূর্বক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর সাংবাদিকতার নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ওই কিশোরীর ছবিসহ সাক্ষাতকারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নজরুল শেখ নামের এক কথিত (ইউটিউবার)। পরে লজ্জায় এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যায় ওই কিশোরীর পরিবার। ভিডিওটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর আলোচনা-সমালোচনার শুরু হলে বুধবার (০৯ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবিরের কাছে ওই ইউটিউবার ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটি মুচলেকা জমা দিয়েছেন যা স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক কিশোরীকে (১৩) জোড়পূর্বক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর সাংবাদিকতার নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ওই কিশোরীর ছবিসহ সাক্ষাতকারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নজরুল শেখ নামের এক কথিত  (ইউটিউবার)। পরে লজ্জায় এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যায় ওই কিশোরীর পরিবার। 
ভিডিওটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর  আলোচনা-সমালোচনার শুরু হলে  বুধবার (০৯ অক্টোবর)  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফি বিন কবিরের কাছে ওই ইউটিউবার ক্ষমাপ্রার্থনা করে একটি মুচলেকা জমা দিয়েছেন যা স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (০৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডাংগী ইউনিয়নের ভবুকদিয়া এলাকায় এক ইজিবাইক চালকসহ দুই যুবকের কাছে ধর্ষণের শিকার হোন ওই কিশোরী। অভিযুক্ত দুই যুবকের মধ্যে রয়েছেন, উপজেলার আটাইল গ্রামের সাদের হোসেনের ছেলে অটোচালক ইমান আলী (২৬) ও ফজলু শেখের ছেলে নাছির শেখ (২৫)। 

জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তাঁর বোনের বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলার তালমা মোড় থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় ওঠে। পরে তাঁকে নির্ধারিত স্থানে না নিয়ে আটাইল গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে ওই অটোচালক ও তাঁর বন্ধু কিশোরীকে জোড়পূর্বকভাবে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। ওই কিশোরীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরিবারের জিম্মায় দেন। এরপর সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসক নজরুল শেখ ওই ধর্ষিতা কিশোরীর ভিডিও জবানবন্দী নেন এবং সেটি তার ফেসবুক পেইজে (সত্য নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম) এ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে প্রচার করেন। এ ঘটনার পরে লজ্জায় ওই কিশোরী ও তাঁর পরিবার ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় চলে গেছেন।

এ বিষয়ে ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বকুল জানান, ‘ওই কিশোরীকে জোড় করে হেনস্তা করার চেষ্টা চালালে সে দৌড়ে পাশের একটি বাড়িতে উঠে। পরে আমি খবর পেয়ে তাকে পরিবারের কাছে পৌছে দিয়েছি।’

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাফি বিন কবির জানান, ‘কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু এ ঘটনার পর স্থানীয় এক সাংবাদিক ভিকটিমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় ওই কিশোরীসহ পরিবার ঢাকায় চলে গেছেন। তাঁদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে ওই সাংবাদিক ঠিক করেছে কি-না জানতে চেয়েছি এবং তাঁকে বোঝানো হয়েছে, কোনো মুচলেকা নেয়া হয়নি।

তবে মুচলেকা নেয়া হয়েছে বলে ওই সাংবাদিক (ইউটিউবার) জানান,   ‘আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এবং মেয়েটির উপকারের জন্যই ভিডিওটি প্রকাশ করেছিলাম। নিয়ম না মেনে ভিডিও ছাড়া ভুল হয়েছিল, পরে ডিলিট করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে বুধবার  সকালে ইউএনও আমার কাছ থেকে মুচলেকাও নিয়েছেন।

এ ঘটনার পরেই অভিযুক্ত দুই যুবক পলাতক রয়েছে।

 অভিযুক্ত অটো ইমান আলীর স্ত্রী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে তার ফোন বন্ধ কোথায় আছে জানিনা।’ 

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফর আলী  জানান, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নেই এবং কেউ থানায় অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ দিলে বা মামলা করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo