আত্মগোপনে রেখে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যার পর লাশ গুমের মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের দুইদিন পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা থেকে সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে উদ্ধার করেছে আত্মগোপনে থাকা যুবক আলাউদ্দিন বেপারীকে (২৫)। পরে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে আলাউদ্দিনকে মাদারীপুরে নিয়ে আসা হয়েছে।
এরআগে গত শনিবার সদর মডেল থানায় আলাউদ্দিনের মা রানু বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ছেলেকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ গুম করা হয়েছে দাবি করে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ ১৭ জনের নামে মামলা রেকর্ড করে। এছাড়া মামলায় ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামিও করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত পহেলা এপ্রিল মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথদী গ্রামের মলফত বেপারীর ঘরে প্রবেশ করে প্রতিবেশী ইলিয়াস মোল্লাসহ বেশ কয়েকজন। পরে ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে তারা। পরে মলফত বেপারীর ছেলে আলাউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইলিয়াস ও তার লোকজন। এসময় বাঁধা দেয়ায় পিটিয়ে আহত করা হয় মলফত বেপারীরর স্ত্রী রানু বেগমকে। পরে আলাউদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে হামলাকারীরা। এই ঘটনায় রানু বেগম বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার পর লাশ গুম করেছে দাবি করে ৫ এপ্রিল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর তদন্তে নামে সদর মডেল থানা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয় আলাউদ্দিনকে। প্রতিপক্ষ ইলিয়াস মোল্লাকে ফাঁসাতে গুম ও খুনের নাটক করা হয়েছে উল্লেখ করে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন মামলার আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান জানান, গুম ও খুনের মামলার ঘটনায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।