নিষেধাজ্ঞার মুখে বিশ্বকাপ আয়োজনের অপেক্ষায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:০৫ আপডেট: ৫ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:০৫ এএম
নিষেধাজ্ঞার মুখে বিশ্বকাপ আয়োজনের অপেক্ষায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দল খেলবে এবারের আসরে। ২০টি দল নিয়ে জুনে এই আসর অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিশ্বকাপের আগে ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে আছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি)।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দল খেলবে এবারের আসরে। ২০টি দল নিয়ে জুনে এই আসর অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বিশ্বকাপের আগে ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে আছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি)।


যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি) যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের চলমান পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই কারণে ক্ষুব্ধ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিও। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে সামনেই বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট থাকায় আপাতত সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।


ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। নুর মুরাদকে সরিয়ে দেওয়া যার সর্বশেষ নজির। গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে।

মুরাদকে প্রধান নির্বাহী হিসেবে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় আইসিসি পুনর্বহাল করতে বলেছিল। কিন্তু ইউএসএ ক্রিকেটের পরিচালনা পর্ষদ সে নির্দেশনায়ও কর্ণপাত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বড় একটি অংশ তাদের নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।


যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের বিষয়ে একটি সূত্র ক্রিকবাজকে বলেন, ‘তাঁরা মনে করেন, প্রতিদিনের কার্যক্রমে তাঁদের জড়িত থাকতে হবে। যখন এটা করতে যান, তখন ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ও জড়িয়ে যায়। যে কারণে ক্রিকেট বড় হচ্ছে না। তাঁরা নির্দিষ্ট একটি পদে নির্বাচিত হতে টাকা খরচ করেন। যে কারণে কার্যক্রমে নাক গলানো নিজেদের অধিকার মনে করেন। তাঁরা বুঝতে চান না বোর্ডের চরিত্র কী হয় আর বোর্ড এবং প্রশাসনের মধ্যে একটা সীমানাও আছে।’


ইউএসএ ক্রিকেটের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, পরিচালনা পর্ষদে ১০ জন পরিচালক আছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ভেনু পিসিকেসহ ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালক। বাকিরা লিগ, ক্লাব এবং নারী ও পুরুষ ক্রিকেটার পরিচালক পদে। তাঁদের বেশির ভাগই ভারতীয় উপমহাদেশ বংশোদ্ভুত।


সূত্রটি জানায়, প্রধান নির্বাহী থাকাবস্থায় মুরাদ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে আছে ঘরোয়া ক্রিকেট পরিচালক, অর্থ ব্যবস্থাপক এবং অন্যান্য পদে নিয়োগ। কিছু ক্ষেত্রে বোর্ড পরিচালকেরা নিজেদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে চেয়েছেন, কিছু ক্ষেত্রে উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছেন। এ ছাড়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে জাতীয় দলের জন্য হাই পারফরম্যান্স কাঠামো তৈরির চেষ্টাও সফল হয়নি।


প্রধান নির্বাহী মুরাদের আগে গত কয়েক মাসের মধ্যে ইউএসএসি ছেড়ে গেছেন উন্নয়ন কর্মকর্তা পল লয়েড, নারী ক্রিকেট সমন্বয়ক জুলি অ্যাবোট এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ বার্ট ককলি।২০২৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা ম্যাচ দিয়ে। ২৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে মোট ১৬টি ম্যাচ আয়োজন করবে যুক্তরাষ্ট্র।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo