নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থা- সেটি ছিল না। পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে- তা নিশ্চিত করা হবে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে তথ্য সংগ্রকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘ইতোপূর্বে ভোটার তালিকার তথ্য নিয়ে নানা সমালোচনা ছিল। এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে নির্ভুলভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ঐক্যমত প্রক্রিয়ার বিষয়। নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। তফসিল ঘোষণা পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলে তখন সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার সফিউল সারোয়ার, নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক টি এম এ মমিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিবসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৮ এর আগে তারাই এ ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রত্যকে জন্মসনদ, মাতা-পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা মৃত হলে মৃত্যু সনদ, শিক্ষা সনদের ফটোকপি, ওয়ারিশ সনদ, খতিয়ানের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স রশিদ, বিবাহিত হলে কাবিননামা, প্রবাসী হলে পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ ইত্যাদি প্রমাণাদি সরবরাহ করতে হবে। মতবিনিময় সভায় এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর আগে সকালে নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।