রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় দৌলতদিয়া ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা র্পযন্ত চলে পাকা জাম বেচাকেনা। আর এই কালো সোনা খ্যাত পাকা জাম প্রতিদিন গোয়ালন্দ থেকে ঢাকায় রপ্তানি হচ্ছে প্রায় ৫ হাজার কেজি।
জাম ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজলোর দৌলতদয়িা ইউনিয়নও উজানচর ইউনিয়ন এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি জাম গাছ আছে। আর এই জাম গাছ গুলো থেকে পাকা জাম সংগ্রহ করেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। তাদের সংগ্রহ করা জাম নিয়ে আসনে দৌলতদয়িা ঘাটে । আর সেই জাম তারা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে থাকেন ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জাম কিনে নিয়ে ঢাকায় বিক্রি করে থাকেন ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা কেজি ধরে । জাম বেচাকেনার এই মৌসুম চলে মে মাসের দ্বতিীয় সপ্তাহ থেকে জুন মাসরে শেষ সপ্তাহ র্পযন্ত।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি র্কাযালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় ৪ হাজার ৭৬০টি জাম গাছ আছ। বর্তমান বাজারে জাম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।কিন্তু কৃষক দাম কম পাচ্ছে কারন কৃষকের কাছ থেকে অল্প টাকায় কিনে এনে ছোট ব্যবসায়ীরা জামের আড়ৎতে ১৫০ টাকা থেক ১৬০ টাকা করে বিক্রি করছে। সে ক্ষেত্রে বেশি লাভবান হচ্ছে ছোট ব্যবসায়ীরা। ঘন বৃষ্টি হলে বাজারে পাকা জাম আর থাকবে না গাছেই পচে যাবে।
জাম বিক্রেতা আরমান জানান, আমরা গ্রামে গিয়ে জামের গাছ কিনি একটি গাছের দাম দিয়ে থাকি ৩৫০০ টাকা কতটা আবার ৪ হাজার টাকা কতটা আবার ৫ হাজার পর্যন্ত । জামের ফলন বুঝে গাছের দাম দেই। সেই গাছ থেকে জাম পেড়ে প্লাস্টিকের ক্রেটে করে প্রতিদিন দৌলতদিয়া ঘাটে জামের আড়ৎতে এনে বিক্রি করি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি ধরে।এ পর্যন্ত জাম বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হয়েছে। আরো কয়েকটি গাছ আমার আছে। আজকে নিয়ে আসছিলাম দেড় মন পাকা জাম।কিন্তু জাম গাছ থেকে পারাটা খুবই কষ্টকর হয়ে থাকে।
আরেক জাম বিক্রিতা জাহিদ জানান, আমি গ্রাম থেকে ৬০টাকা থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৫০ কেজির মত জাম কিনে নিয়ে এসেছি ।আমরা দুজন লোক ও একটি ভ্যান সহ খরচ বাবদ ঘাটে এসে পৌঁছাতে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে পড়ে গেছে জাম। আড়ৎ এ এসে জাম বিক্রি করলাম ১৫০ টাকা কেজি ধরে। তাতে কিছু টাকা লাভ হয়েছে। ঘন বৃষ্টি হলেই এই ব্যবসা আর থাকবে না। গাছে যে জাম থাকবে সব পচে যাবে।
জামের আড়ৎদার মানিক জানান, আমি প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ মণ করে জাম কিনে নিয়ে ট্রাক ভর্তি করে ঢাকা মিরপুরে নিয়ে যাই। সেখানে প্রতি কেজি জাম বিক্রি হয় ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকা কেজি ধরে। আমার মত কয়েক জন আড়ৎদার আছেন এই ঘাটে তারা সবাই দৌলতদিয়া ঘাট থেকে জাম কিনে নিয়ে ট্রাক করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
গোয়ালন্দ উপজলোর কৃষি র্কমর্কতা মো. খোকন উজ্জামান বলনে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের চেয়ে এবছরে জাম চাষরিা ভালো দাম পাচ্ছেন। এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার কেজি জাম রপ্তানি হচ্ছে ঢাকায়।