ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জনকের আত্মহত্যা

মোঃ আব্দুল মতিন সায়েদি প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৯:০৮ আপডেট: ৯ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৯:০৮ এএম
ঠাকুরগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে এক সন্তানের জনকের আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তারুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। রবিবার দিবাগত রাত ১১:৩০ মিনিটে রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘুরনগাছ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়ায় কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তারুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। রবিবার দিবাগত রাত ১১:৩০ মিনিটে রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘুরনগাছ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন তার কারণ পাওয়া যায়নি।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহিয়া থানাধীন ২ নং আখানগর ইউনিয়নের চতুরাখোর ( পাঠান পাড়া) গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মুক্তারুল ইসলাম । প্রায় দুই বছর ধরে স্ত্রীসহ শশুর বাড়িতে করে আসছিলেন মুক্তারুল ইসলাম। তার দুই বছর বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। রবিবার রাতে বসতঘরের পিছনে একটি কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস দেন মুক্তারুল। পরবর্তীতে বাড়ির লোকজন দেখতে পেয়ে বেঁচে আছে ধারনায় গাছ থেকে নামিয়ে দেখে মুক্তারুল ইসলাম মারা গেছে। সকালে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত মুক্তারুল ইসলামের পরিবারের ধারণা সাংসারিক অশান্তির কারণেই মুক্তারুল ইসলাম আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।


তবে নিহতের স্ত্রী খুশি ও শাশুড়ী সমিলা বেগম জানান তাদের সাংসারিক সব কিছু ঠিক আছে এবং তাদের দুইজনের মধ্যে খুবই মিল তারপরও কেন যে জামাই আত্মহত্যা করেছে বলতে পারি না।


১ নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘুরনগাছ এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে মুক্তারুল ইসলাম আত্মহত্যা করেছে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে আসি কি কারণে এবং কেন আত্মহত্যা করেছে সে বিষয় জানা যায়নি তবে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।


রুহিয়া থানার ওসি গুলফানুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার প্রকৃত কোনো কারণ জানা যায়নি এবং প্রাথমিক সুরতহাল করে শরিরে কোন জখম বা কোন দাগ পাওয়া যায়নি । তিনি আরও বলেন নিহতের বিষয় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo