জিয়াউর রহমান ক্যু করে ক্ষমতায় এসে একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তার স্ত্রীও ক্ষমতায় এসে স্বামীর এক ডিগ্রি ওপরে গিয়ে রাজাকারকে বানালেন রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে তিনি দুজন রাজাকারকেও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’
‘জিয়াউর রহমান ক্যু করে ক্ষমতায় এসে একজন রাজাকারকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তার স্ত্রীও ক্ষমতায় এসে স্বামীর এক ডিগ্রি ওপরে গিয়ে রাজাকারকে বানালেন রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে তিনি দুজন রাজাকারকেও মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে কসবা উপজেলার সুপার মার্কেট চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নির্বাচনী গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসেছে সেই কুলাঙ্গারগুলো আমাদের জাতির পিতা এবং তার পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করে। তাদের উদ্দেশ্যে ছিল বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন ও বিলীন করে দেওয়া। তারা ২১ বছর ধরে বাংলাদেশকে শাসন করেছিল। দেশের কোনো উন্নতি হয়নি। কিছু লোকের পকেটের উন্নতি হয়েছিল। তারা দেশের মানুষকে গরিব থেকে আরও গরিব হওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা দেখেছি এসব আমলে সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র ও ক্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দিতে হয়। আমরা আইন মানি। বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, সেই নির্বাচন জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানির সভাপতিতত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।