ছাত্র হত্যার আসামি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের অস্ত্র,ব্যাবসা

গোলাম রাব্বানী প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর , ২০২৪ ১৬:৩০ আপডেট: ২১ নভেম্বর , ২০২৪ ১০:৩৩ এএম
ছাত্র হত্যার আসামি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের অস্ত্র,ব্যাবসা
সাভারের অবৈধ অস্র ও মাদকের গড ফাদার সমকামী শাকিলের বেইমানির নজির।

সাভারের অবৈধ অস্র ও মাদকের গড ফাদার সমকামী শাকিলের বেইমানির নজির।সাভারের বেদে পল্লির একাধিক মাদক মামলার আসামি শাকিল ওরফে শর্টগান শাকিলের বিষয়ে বললেন সাভার মডেল থানার এক পুলিশ কর্মকতা বলেন সমকামী জাকির ও আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী শাকিল ওরফে শর্টগান শাকিল এর সাথে দীর্ঘ দিনের বিশ্বস্ত সুসম্পর্ক রয়েছে এই বিশ্বাস থেকেই মামা জাকির শাকিল কে সব সময় কাছে রাখতো সেই সুযোগে শাকিল ও বেদে পল্লিতে মাদক ব্যবসা করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সেই টাকা থেকে প্রতি মাসে মামা জাকির কে ৩০০০০০(তিন লক্ষ টাকা) দিত শাকিল। এমন লেনদেনের মধ্যে তাদের সাথে বিশ্বাস ও ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। সাভারের হেমায়েতপুর এর সকল গার্মেন্টস থেকে চাদা নিত প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা। যার ভাগ ভাটোয়ারা করতো এই মামা জাকির৷ সেই সুযোগে ব্যাবসায়ি হিসাব নিকাশ টাকা পয়সা লেনদেন শাকিলের কাছে থাকতো। পরিশেষে দেখা গেলো যে খন্দকার মোশতাক এর মতো শাকিল ও মামা জাকিরের বিশ্বস্ত হয়ে উঠে। খন্দকার মোশতাক যেভাবে বঙ্গবন্ধুর সাথে বেইমানি করে ঠিক সেই ভাবে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী বেদে পল্লির শাকিল একই রুপ ধারন করলো। সরকার পতনের পর ঢাকা বসুন্ধরা এলাকায় মামা জাকির ও শাকিল একই সাথে বসবাস শুরু করে। দীর্ঘ দুই মাস সংসার করার পর যখন পুলিশের জালে মামা জাকির আটক হয় ঠিক সেই সময়ে তার দেহরক্ষী শাকিল ৭০ লাখ টাকা ও মামা জাকিরের নিরাপত্তা জন্য থাকা শাকিলের দেওয়া ৩ টি অবৈধ আগ্নে অস্ত্র ও ২৮০ রাউন্ড গুলি নিয়ে পালিয়ে যান এই শাকিল।সাভার থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় এমনটি জানিয়েছেন এই সমকামী মামা জাকির তিনি আরো বলেন সাভার উপজেলা ছাএলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অত্যাধুনিক আগ্নে অস্ত্র সরবারহ করে দিতেন এই শর্টগান শাকিল।গনহত্যায় নেতৃত্ব আতিকুর রহমান আতিকের  একটি অস্র দিয়ে গুলির যে দৃশ্য আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় সেই অস্রটি শাকিলের ,সেই অস্রটি এখনো শাকিলের কাছেই আছে।রাজীব সমরের পরিবারের সকল অবৈধ অস্ত্র শাকিলের হাত দিয়ে হেমায়েতপুর আসতো এক পর্যায়ে এই সকল অস্ত্র দিয়ে দখলবাজি টেন্ডার বাজি ও ছাএ হত্যায় এই আগ্নে অস্ত্র গুলো ব্যবহার হতো।সাভারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরল আলম রাজীবের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন রাজীব মামা সমর মামা সহ সাত জন এই শাকিলের  হেফাজতে আছে। তাদেরকে ইন্ডিয়াতে  পালানোর জন্য শাকিলের বর্ডার এলাকায় এক আত্নীয় বাসায় রেখে দেন।শাকিল অবৈধ চোরাকারবারি হওয়ায় তার জানা আছে কিভাবে অবৈধ ভাবে ভারতে লোক পাঠাতে হয়।রিমান্ডে থাকা অবস্থায়  দীর্ঘ কান্নায় ভেঙে পড়েন এই মামা জাকির ৷ র‍্যাবের এক গোয়েন্দা শাখার উর্ধতন কর্মকতার সাথে কথা বলে জানা যায় বেদে পল্লির মাদক ব্যবসায়ি,"শাকিল উরফে শর্টগান শাকিল "এখনো সাভার বেদে পল্লির সকল মাদক নিয়ত্রন করে এবং প্রায় ২০০ জন মহিলা পুরুষ দিয়ে সকল মাদক বিক্রি করায় তার সব তথ্য আমরা সংগ্রহ। চেষ্টা চলছে অতি দ্রুত সময়ে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা,হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo