আমিরাবাদ ইউনিয়নস্থ ডলু নদীর বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ আতঙ্কে কূলবাসী দিশেহারা

ফাহাদ ইবনে হাশেম প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৪:১৬ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ ১৪:১৬ পিএম
আমিরাবাদ ইউনিয়নস্থ ডলু নদীর বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ আতঙ্কে কূলবাসী দিশেহারা
লোহাগাড়ায় আমিরাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম সীমানা সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ বিধ্বস্ত ডলু নদীর ভেড়িবাঁধ তথা যাতায়াত সড়কটি।

উপজেলার সর্ববৃহত্তম ইউনিয়ন আমিরাবাদ। উক্ত ইউনিয়নের সর্ব পশ্চিম সীমানায় ডলু নদী। এ ডলু নদীর ভেড়িবাঁধ সংলগ্ন পশ্চিম আমিরাবাদের খৈয়ার কূল ও তৎসংলগ্ন মাস্টার পাড়া, রোকেয়ার বর পাড়াসহ বহু জনবসতি লোকালয় রয়েছে। এলাকার বহুল পরিচিত আলুর ঘাট। উক্ত আলুর ঘাট পেরিয়ে অপর পার্শে¦র সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লোকজন যাতায়াত করেন। সাম্প্রাতিককালের ভয়াবহ বন্যায় উক্ত ডলু নদীর পূর্বকূল অর্থাৎ পশ্চিম আমিরাবাদস্থ খৈয়ার কূলের জনবসতি এলাকা প্লাবিত হয়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিশেষ করে মাস্টার পাড়া ও পাশর্^বর্তী রোকেয়ার বর পাড়া সংলগ্ন ডলু নদীর ভেড়িবাঁধের অনেকাংশ বানের পানির প্রবল ¯্রােতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। কোন কোন স্থানে বিচ্ছিন্নও হয়েছে।

এ ছাড়া ভেড়িবাঁধের অন্য বিধ্বস্ত স্থান বিচ্ছিন্ন হয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার উপক্রম ও দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা মন্তব্য করেছেন, বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধের যে কোন অংশ বিচ্ছিন্ন হলে আশে-পাশের বিশাল জনগোষ্ঠি এলাকা ডলু নদীর বানের পানিতে তলিয়ে যাবে। শুধু লোকালয় নয়, বিস্তৃত ফসলিক্ষেত ও মাছভরা পুকুর প্রভৃতি প্রতিবছর বর্ষায় বানের পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিককালের বন্যায় এলাকার বহু কাঁচা বসতবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ওই এলাকায় পরিদর্শনে গেলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সহিত আলাপকালে তাঁরা জানান, বন্যার ভয়াবহ পরিণতির কথা বর্ণণা করার ভাষা তাঁদের নেই। ডলু নদীর ভয়াবহ বানের পানি ভেড়িবাঁধের উপর দিয়েপ্রবাহিত হয়ে লোকালয়ের দিকে প্রবেশ করে বহু জনবসতি এলাকা লন্ডভন্ড করে ফেলে এবং একই সময় বহু কাঁচা বসতবাড়ি ও বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ওই সময় এলাকার জনৈক মোঃ জকরিয়ার সহিত আলাপ করলে তিনি বলেন, এলাকার মাস্টার পাড়া ও রোকেয়ার বর পাড়া সংলগ্ন ডলু নদীর বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামত না করলে আগামীতে পুরো এলাকায় সর্বনাশ ঘটবে। তিনি এ’ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফু সিকদারের সহিত আলাপ করলে তিনি বলেন, সমস্যাটি এলাকার জন্য খুবই ভয়াবহ। বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁড় দ্রুত মেরামত না করলে এলাকাবাসীর জন্য এ সমস্যা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। বর্ষায় নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে সাথে সাথে এলাকাবাসী পুণরায় বানের পানিতে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তিনি উক্ত বিধ্বস্ত ভেড়িবাঁধ তথা যাতায়াত সড়কটি দ্রুত সংষ্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo