যশোর যশোর নতুন উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর, শিক্ষক,অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহারের তদন্ত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর খুলনায় পাঠানো হবে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম। সেখান থেকে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানান দুই বছর আগে রশিদা বেগম যশোর নতুন উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে শিক্ষার্থীদের মারধর করাসহ অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ৯ অক্টোবর তিনি ওই স্কুলের এক শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবাহর করেন। এতে করে অভিভাবকরা স্কুলে উপ¯ি’ত হয়ে প্রধান শিক্ষক রশিদা বেগমের অপসারনের দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে। ওই দিনই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে যান মনিরামপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম। ঘটনা¯’লে গিয়ে অভিভাবকের উত্তেজনামুলক পরি¯ি’তির সম্মুখীন হন। সেখানে শিক্ষক রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ নিয়েছি। সেই সাথে প্রধান শিক্ষকের কথা শোনা হয়। আগামী রোববার বা সোমবারে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দেবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, নিউটাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রশিদা বেগমের আরো আগে অভিভাবকদের কাছ থেকে অনেক লিখিত অভিযোগ আমার কাছে আসে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি মনিরামপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল আলমকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর সেটি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনায় পাঠানো। তার বিরুদ্ধে সেখান থেকে ব্যব¯’া নেয়া হবে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যব¯’া নেয়ার ক্ষমতা আমারে নেই।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক রশিদা বেগম জানান, তার স্কুলের শুভে”ছা নামে এক শিক্ষক আমার কোন অনুমতি না নিয়ে মায়ের অসু¯’তার অজুহাতে ই”ছা মতো স্কুলে আসে আর যায়। তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করা হয়। তাই তিনি আমার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সাক্ষর নিয়ে শিক্ষা অফিসারের কাছে দেন। সেই সাথে অভিভাবকদের সাজিয়ে এনে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।