রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত তেজগাঁও চার্চে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে খিষ্টার্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয় তেজগাঁও চার্চের প্রধান ফটকে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও গেইটের সামনে অবিস্ফোরিত আরও দুটি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বোম ডিস্পোজাল ইউনিট অবিস্ফোরিত ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় করে।
প্রত্যক্ষদর্শী চার্চের নিরাপত্তাকর্মী শ্রী ফারুক হাসদা বাংলা ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, “রাত নয়টার দিকে আমার ডিউটি শুরু হওয়ার সময় চার্চের গেটের বাইরে দুটি মোটরসাইকেল দেখতে পাই। পরে রাত ১০টার দিকে বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণের পর গেইটের বাইরে বেরিয়ে দেখি মোটরসাইকেল দুটিতে মোট চারজন লোক দ্রুত স্টেশন রোডের দিকে চলে যাচ্ছে” ।
তিনি আরও বলেন, “মোটরসাইকেল দুটি যেখানে দাঁড়ানো ছিল সেখানেই অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল মিষ্টির প্যাকেটে করে পড়ে ছিল। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে” ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল হান্নান বলেন, রাত ১০টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দুটি ককটেল বিস্ফোরণের করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থেকে অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএমপির বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে অবিস্ফোরিত ককটেল দুটি নিষ্ক্রিয় করেন।
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আসেপাশে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চার্চের প্রধান ফটকের ওপরে একটি ও গেটের নিচের দিকে ককটেল বিস্ফোরণের পোড়া চিহ্ন রয়েছে। যদিও গেইটে চার্চের কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এদিকে এঘটনার পর থেকে তেজগাঁও চার্চের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দাবী জানিয়েছেন খিষ্টার্ন ধর্মালম্বীরা।