কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অসময়ে নদনদীর পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা
পাহাড়ি ঢলের তান্ডবে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর ফলে শতাধিক পরিবারের
বসতবাড়ি, শতশত একর ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙ্গনে বিলীন
যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী ঘেষা মানুষ গুলো।
রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের হবিগঞ্জ, গেন্দার আলগা, সোনাপুর,
সুখের বাতি, ঘুঘুমারী, পাখিউড়া ও খেদাইমারী গ্রামজুড়ে প্রায় ৮
কিলোমিটার নদী পথ জুড়েই ভাঙ্গন চলছে। বছরের পর বছর নদী ভাঙ্গনের কারণে অনেক
গ্রাম এখন শুধু নামেই টিকে আছে। বাস্তবে সেগুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে নদীতে
পরিণত হয়েছে।
বসতবাড়ি ও জমিজিরাত হারিয়ে অনেক পরিবার এখন আশ্রয় নিয়েছে সরকারি
রাস্তাার পাশে, অন্যের ভিটায় কিংবা শহরের বস্তিতে। কেউ কেউ ভাঙ্গন সহ্য করতে না
পেরে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সোনাপুর গ্রামের সেলিম মিয়া (৭০), জহর আলী, সায়েদ মাস্টার, কবির, রহুল, গুলজার,
হোসেন আলী ও সিরাজুল, ময়না খাতুন,রহিমা খাতুনসহ, অনেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি
জানান, “মাত্র পাঁচ বছর আগেও নদী আমাদের গ্রাম থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে
ছিল। এখন সেই জায়গাটা নদীর মাঝখানে।”
তাদের অভিযোগ, সরকারি কোনো কার্যকর নদীশাসন প্রকল্প না থাকায় চরশৌলমারী
ও গেন্দার আলগা ইউনিয়নের মানুষ প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারাচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)
সাম্প্রতিক সময়ে জরুরি নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ও কোটি টাকার প্রকল্প
অনুমোদন দিলেও সময় মতো ও সঠিকভাবে কাজ না করায় কোনো সুফল মিলছে না।
ফলে নদী গিলে নিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।
স্থানীয়দের দাবি স্থায়ী বাঁধ বা পাড় নির্মাণের মাধ্যমে রৌমারী উপজেলার
উত্তরাঞ্চলীয় ইউনিয়নগুলোকে নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা যেতে পার।
এবিষয় কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম রাকিব
বলেন বরাদ্দ পেয়েছি প্রায় ১৫ কোটি টাকা কাজ চলছে। নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা
মানুষের বিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বাংলা
টিভিকে বলেন রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারীতে ব্যাপক নদী ভাঙ্গনের সৃষ্ঠি হওয়ায়
অনেক বসতবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন
মন্ত্রনালয় কথা বলে জিও ব্যাক ফেলা হচ্ছে। পাশাপাশি সর্বহারাদের ঢেউটিন দেওয়া
হচ্ছে বলে তিনি জানান।