কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সুজন নামের এক যুবক মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, এছাড়া এ হামলায় আরও ৬ জন আহত হয়েছে। মৃত্যুর শয্যায় থাকা সুজন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আই সি ইউ তে ভর্তি রয়েছে। নৃশংস এ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকালে অলুয়া গ্রামের সর্বস্তরের নারীপুরুষ একটি মানববন্ধন করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের হাজারো নারী পুরুষ রাস্তায় নেমে এসে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।এ সময় তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন স্লোগান দেন। সন্ত্রাসীরা এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটাতে পারে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
কিছুদিন পূর্বে মনোহরপুর এলাকার কতিপয় উশৃংখল যুবক অলুয়া গ্রামে এসে মেয়েলি বিষয় নিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
ওই ঘটনার জেরে গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এনামুলের দোকানে সামনে মনোহরপুর গ্রামের কতিপয় কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তাদের হামলার আহত ৬ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ১ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
আহতদের মধ্যে ৬ জন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। গুরুতর আহত সুজন মিয়াকে (২২) উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে তার অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আই সি ও তে কোমায় রয়েছেন।
এই ঘটনার পরবর্তিতে মনোহরপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাবু পুলিশ সদস্য, জাহিদুল ইসলাম ও সুমন মিয়া নামে কিছু লোক অলুয়া গ্রামের যাকে যেখানে পাওয়া যাবে তাকে হত্যা ও গুম করার হবে বলে
প্রকাশ্যে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন অলুয়া গ্রামের অবসর পুলিশ মোহাম্মদ আলী, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, আবু জাহের, মোস্তফা আহমেদ মাস্টার, মহিউদ্দিন টিটু, নজরুল ইসলাম মাস্টার, রাসেল আহমেদ মাস্টার, জুনায়েদ মাস্টার, জাকির ভুইয়া, আলী হোসেন, শাহজাহান সরদার, ইউনুস মেম্বার, অলিউল্লাহ ভূঁইয়া, এরশাদ ভূঁইয়া, ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আছমা মেম্বার প্রমূখ। মানববন্ধনে তারা আরও বলেন অচিরেই কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের ধরে আইনের মাধ্যমে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।