ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৪নং ডাংগীপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় মসজিদ আল হারামাইন মসজিদের সকল মুসল্লিদেরকে জঙ্গি বলে মন্তব্য করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজুয়ানুল হক মানিক। এতে চৌরঙ্গী এলাকায় মুসল্লিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হাটবাজারে এই বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৭ (সেপ্টেম্বর) রোজ শনিবার চৌরঙ্গী হাই স্কুল মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির – অঙ্গ সংগঠন যুবদলের বর্ধিত সভা অনুষ্টিত হয়। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকাল ০৩:৩০ মি: থেকে রাত ৮:১৫ মিনিট পর্যন্ত। এর মধ্যে আসর ও মাগরিব সালাতের সময় সভা বন্ধ রাখলেও এশা সালাতের আজানের সময় সভা চলমান ছিল।
তবে আল হারামাইন মসজিদের ইমাম বলেন ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে আজান দেরিতে দিতে বলা হয়নি। তবে সভা সংলগ্ন স্কুল মসজিদের ইমাম বলেন সভায় আসা দুই একজন লোক একটু দেরিতে আজান দিতে বলেন। এতে স্কুল মসজিদের মুয়াজ্জিন আজান না দিতে পেরে রাগ করে চলে যান। রাত ০৮:০০ টায় আজানের সময় থাকলেও পরবর্তীতে ১০ মিনিটে অপেক্ষা করে সালাতে আসা এক ব্যাক্তি ০৮:১০মিনিটে আজান দিয়ে দেন। দেরিতে আজান দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় । এতে এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বর্ধিত সভায় আসা নেতাকর্মীরা।
পরের দিন সকালে আজান দেরিতে দেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে , সোস্যাল মিডিয়া -ফেসবুকে এটির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে পোস্ট করেন খালিদ হাসান নামের এক যুবক । তাঁর এই ফেসবুকের কমেন্টে রেজুয়ানুল হক মানিক লিখেন জঙ্গি সংগঠনের মসজিদ হারামাইন । তাদের হল মনগড়া আইন। এই সংগঠন ৬৪ জেলায় একই দিনে বোমা ফাটাইছিল। এটা হলো নেক্কারজনক ঘটনা।
রেজুয়ানুল হক মানিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিক জানান খালিদ হাসানের পোস্টের জেরেই আমি এমন কমেন্ট করেছি। ঐ মসজিদের সালাত অনান্য মসজিদের থেকে আগে হয়।
অপরদিকে আল হারামাইন মসজিদের ইমাম মোঃ তোফাজ্জল হোসাইন বলেন মসজিদের সালাত যথাসময়ে আদায় হয়। কমেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে ইমাম বলেন মসজিদ ও মুসল্লিদেরকে নিয়ে এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
ফেসবুক পোস্টে তীব্র ও নিন্দা জানানো খালিদ হাসান বলেন বর্ধিত সভায় আসা কয়েকজন লোক স্কুল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে আজান দেরিতে দিতে বলেন। এজন্য আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। রেজুয়ানুল হক মানিক আমার ফেসবুক পোস্টে যে কমেন্ট করেছে এটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আঘাত করে। এমন মন্তব্যের জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে পরবর্তীতে মুসল্লিদের নিয়ে তার বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আল্লাহর ঘর ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিয়ে কোন হেয় ও কটুক্তি করা মেনে নেয়া হবে না।