যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধের ঘটনায় দগ্ধ তানভীর (৯) মারা গেছে। এ ঘটনায় বাবার পর ছেলেরও মৃত্যু হলো। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই জনে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় শিশু তানভীরের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইনিস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বাংলা ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, তানভীরের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় শিশুটির বাবা তুহিন হোসাইনের (৩৮)। তার শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় বর্তমানে চিকিৎসাধীন তুহিনের স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০) ও আরেক ছেলে তাওহীদ (৭)।
উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর বউবাজার এলাকায় তুহিনের বাসায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
হাসপাতালে নিয়ে আসা ইবা আক্তারের ছোট বোন ফারজানা আক্তার বলেন, শুক্রবার দিনগত রাতে বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন সবাই। সে সময়ে এসি বিস্ফোরণে ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা চারজনই দগ্ধ হয়।
মৃত তুহিন হোসাইনের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার জেলা কুনিয়া গ্রামে। তিনি মোতালেব প্লাজায় মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন।
সুমিত বিশ্বাস