রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পোড়াদহ থেকে ছেড়ে আসা শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ ও দুই ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে করে ২:ঘন্টা দুর্ভোগে ছিলেন সাধারন যাত্রীরা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন -দ্রুত রেল লাইন সচল করতে কাজ চলছে।শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারে পাঠানো হয়েছে একটি রিলিফ ক্রেন।
সোমবার ৩ নভেম্বর সকাল ৭.১৫ মিনিটের সময় গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় ঘাটে শাটল ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে এ লাইনচূত্য হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্টেশন মাস্টার ও লাইনম্যানদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আজ এই ঘটনাটি ঘটেছে। লাইনম্যানরা ভালোভাবে লাইনের কোন কাজ করে না। তারা শুধু সকালে এসে এ দোকানে ও দোকানে বসে আড্ডা মেরে চলে যায়। সরকারি চাকরি বলে কথা। রেল লাইনের মধ্যে কোন পাথর বা খোয়া নেই। কাঠের স্লিপার গুলোতে ও পচন ধরেছে। কাঁদা মাটিতে রেললাইনগুলো ঢেকে গেছে। কাঁদামাটি ও ঘাস পরিষ্কার না করার কারণে আজ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাদের দায়িত্ব পালনে যত অবহেলা। তাদের আরো দায়িত্ববান হতে হবে তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে না।
গোয়ালন্দ স্টেশনে আসা যাত্রী সোহরাব সেখ বলেন,কুষ্টিয়া ডাক্তারের কাছে যাবো,স্টেশনে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে এসে বসে আছি এসময় শুনতে পাই, একটু আগে ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা পড়ে গেছে। এখন কিভাবে কুষ্টিয়া যাবো ভাবছি।
শাটল ট্রেনের টিকেটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এটিএস) আবুল কালাম আজাদ বলেন,সকাল ৭ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ইঞ্জিনের চাকায় সমস্যা হয়ে পড়ে ২ ঘন্টা পর রিলিফ ক্রেন দিয়ে বগীগুলো রাজবাড়ীতে নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টার মো.মুসলিম উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, লাইনে পাথর নেই, স্লিপার নেই সেজন্য ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকা পড়ে গেছে। ইঞ্জিন কেবল আসতে গেছে তখনই ইঞ্জিলের সামনের ডান দিকের একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। সকাল ৭:১৫ মিনিটের দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। আর সকাল ৯: ৫০ মিনিটের সময় একটি রিলিফ ক্রেন এসে ট্রেনের বগিগুলো নিয়ে যায়। ইঞ্জিনটি এখনো রেল লাইনের মধ্যে পড়ে আছে। রিলিফ ক্রেন এসেছে এখন উদ্ধার কাজ চলবে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লাগবে আমাদের উদ্ধার কাজ করতে।