কিশোরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কটিয়াদী উপজেলার জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ‘২৮ শে অক্টোবর পল্টন ট্রাজেডি দিবস ‘উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি হাসপাতাল মোড় থেকে শুরু হয়ে কলেজ রোড প্রদক্ষিণ করে বাস্টেন্ড গিয়ে শেষ হয়। এ-সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা শাখার আমীর জনাব অধ্যাপক মোজাম্মেল হক জোয়ার্দার সাহেব। কটিয়াদী উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর জনাব মাওলানা সাইদুল হক বিএসসি সাহেব। কটিয়াদী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মাহমুদুল হাসান। কটিয়াদী উপজেলা শাখার কর্ম ও শূরা পরিষদ,কটিয়াদী পৌরসভার আমীর জনাব আনিসুজ্জামান রুবেল মাস্টার সাহেব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা জামায়াতের ওলামা বিভাগের সেক্রেটারিয়েট জনাব মাওলানা জসিম উদ্দিন। কটিয়াদী উপজেলা শাখার মানব সম্পদ বিভাগের সেক্রেটারিয়েট জনাব ওয়াহিদুল হক মাস্টার সাহেব। কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের সদস্য জনাব রফিকুল ইসলাম খালেদ। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মানবতাবিরোধী অপরাধ। ঠিক ৯ বছর আগে ২০০৬ সালের এই দিনে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে নারকীয় উল্লাস চালানো হয়েছিল। সবচেয়ে বড় মানবতা বিরোধী অপরাধ এদিনই সংগঠিত হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সেদিন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। লগি, বৈঠা, লাঠি, পিস্তল ও বোমা হামলা চালিয়ে যেভাবে মানুষ খুন করা হয়েছে তা মনে হলে আজও শিউরে ওঠে সভ্য সমাজের মানুষ। সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের উপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছে। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে সারাবিশ্বে ওঠে প্রতিবাদের ঝড়।
২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতার বিচার হওয়াতো দূরের কথা, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দেশের বিশিষ্টজনেরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের পৈশাচিকতা ছিল নজীরবিহীন। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত। এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতি কলংক মুক্ত হবে না। তারা মনে করেন, সেই তাণ্ডবতার বিচার হলে নাটোরের উপজেলা চেয়ারম্যানকে এভাবে মরতে হতো না। তারা বলেন, মামলা প্রত্যাহার করার মাধ্যমে বিচার পাওয়ার অধিকারও কেড়ে নেয়া হলো।
এতেই প্রমাণ হয় এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। সুতরাং আমরা এ হত্যার বিচার চাই।