চট্টগ্রাম হাটহাজারী বড়দিঘীর উত্তর পাড় হযরত ফজর আলী শাহ (রঃ) জামে মসজিদ পাশ্বস্থ ময়দানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম উপলক্ষ্যে ১২ তম আজিমুশশান সুন্নী কনফারেন্স ২৩ ও ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ শে অক্টোবর উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ উমর ফারুক, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা কাজী হারুন ছাহেব। বাদে মাগরিব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, হযরত মাওলানা সৈয়দ নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী। মাহফিল সঞ্চালনায় ছিলেন হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কালাম। ২৪ শে অক্টোবর বাদে মাগরিব উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে তকরির পেশ করেন হাটহাজারী আধুর পাড়া জান্নাতুল ইসলাম জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ ফোরকান কাদেরী, ঢাকা ঈমাম আজম রির্সাচ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মুফতি শহীদুল্লাহ্ বাহাদুর, গুরুত্বপূর্ণ নছিহত পেশ করেন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ হাসানুল হক কাদেরী । প্রধান ওয়ায়েজীন হিসেবে ইসলামী আলোচনা পেশ করেন রাঙ্গুনিয়া রানীরহাট আল আমিন হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সিনিয়র আরবি প্রভাষক হযরতুলহাজ্ব আল্লামা আবুল কালাম বয়ানী। দুই দিন ব্যাপী স্বাধীনতা তরুণ সংঘের উদ্দ্যোগে আয়োজিত এ কনফারেন্সে বক্তারা গাউছে পাকের চরিত্র, আদর্শ, কারামতের মাধ্যমে হাজার হাজার বেদুঈনের ইসলাম গ্রহণের কথা স্মরণ করেন। পাড়া, মহল্লা তথা সমাজকে উত্তম আদর্শ শিক্ষা দেওয়ার তাগিদ দেন। একই সাথে বক্তারা বলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত অলিয়ে খামেল হুজুর খাজা গরিবে নেওয়াজ ৯০ লক্ষ্য লোককে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় এনেছেন কোন অস্ত্রের মাধ্যমে নয়, উত্তম আদর্শ, সুন্দর চরিত্র এবং ব্যবহারের মাধ্যমে। তাই যুব সমাজ, ছাত্র সমাজ এবং আপামর সাধারণ জনতাকে বক্তারা উত্তম আদর্শ, নৈতিক চরিত্র গঠনের মাধ্যমে সমাজ, রাষ্ট্র এবং দেশের পরিবর্তন আনার উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রত্যেককে গাউছে পাকের চারিত্রিক আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে গাউছে পাকের জীবনাদর্শ অনুসরণ করার জন্য আহবান জানান। উক্ত মহতি সুন্নী কনফারেন্সে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ নছিহত পেশ এবং আখেরী মোনাজাতে পরিচালনা করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়দ অছিয়র রহমান আল কাদেরী।