নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে স্থান পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বীর নিবাসপ্রাপ্ত প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের একমাত্র ছেলে শফিউল ইসলাম ।
লিখিত অভিযোগ মারফর জানা যায় , সরকারের মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ‘বীর নিবাস’ প্রকল্পের অধীনে তার পিতার নামে পিত্রালয়ে একটি ঘর অনুমোদন হয় । কিন্তু তার ভগ্নিপতি রেজাউল করিম ওরফে রেজু বিগত সরকারের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনুমোদিত স্থান পরিবর্তন করে ঘরটি ৯নং নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট (পাছপাড়া) গ্রামে নির্মাণ করেন । এতে একজন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে হিসেবে ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি ।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০২১-‘২২ অর্থবছরে প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭ জনের নামে আবাসন নির্মাণের অনুমোদন দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় । ঐ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রওশনারা আক্তারের বর্তমান ঠিকানা কাউরাট শিমুলাটিয়া গ্রামে ঘর নির্মাণের তালিকাভুক্ত হয় ।
শফিউল ইসলাম আরো অভিযোগ করেন , তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পরপরই মা ও বোনকে ভুল বুঝিয়ে বাবার নামে ঘরটি আমাদের জায়গা সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নানার বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে । আমার ভগ্নীপতি মুলত ঘরটি ব্যবহার করছেন । এখানে আমাকে ঠকানো হচ্ছে । এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার দাবি করেন তিনি ।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী রওশনারা আক্তার বলেন, “আমার স্বামী অনেক আগেই মারা গেছেন। বড় ছেলে ঢাকায় চলে গেছে । আমি ছোট দুই সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসি এবং সেখানেই থাকি । ঘর যখন আমাদের নামে এসেছে, তখন আমি যেখানে আছি, সেখানেই ঘর দিতে বলেছি ।” তিনি আরও জানান, “ছেলে এখন ঢাকায় থাকে, আমার খোঁজখবর নেয় না। মেয়ের জামাই-ই আমাকে সবকিছুতে সাহায্য করে ।”
ভগ্নিপতি রেজাউল করিম বলেন, “আমি বিয়ের পর থেকেই শাশুড়িকে দেখভাল করে আসছি । আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয় ।”
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার মুঠোফোনে জানান , অভিযোগ পেয়েছি । সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অফিসকে তদন্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।