বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখা গতকাল রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের নিকট ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এই দাবির মূল বিষয়বস্তু হলো “জুলাই জাতীয় সনদ” বাস্তবায়ন এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আমীর আ. জ. ম. রুহুল কুদ্দুস, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা নুরুল হক পাটোয়ারী, জেলা সেক্রেটারি ও মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাওলানা একেএম ফখরুদ্দিন রাজী, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী প্রফেসর মোঃ- আবু ইউসুফ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মোঃ- আব্দুল মালেক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ- আরশাদ আলী ঢালী, মাওলানা মোখছেদুর রহমান ও মোঃ- হেমায়েত উদ্দিনসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানের পূর্বে মুন্সীগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি সুশৃঙ্খল মিছিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছায়।
স্মারকলিপিতে জামায়াত উল্লেখ করে যে, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক পক্ষ পি আর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তারা আরও জানায়, অতীতের সরকারগুলোর ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। “দিনের ভোট রাতে”র মতো প্রহসনের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক উত্থাপিত ৫ দফা দাবিগুলো নিম্নরূপ:
১। আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ” জারি ও গণভোট আয়োজন।
২। জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।
৩। নির্বাচনে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ বা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪। বিগত সরকারের সকল জুলুম, নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার করা।
৫। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
জেলা আমীর আ. জ. ম. রুহুল কুদ্দুস স্মারকলিপি শেষে বলেন, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলেই কেবল জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার হবে, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং বাংলাদেশ একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান।