হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় খামারের হাঁস কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ২নং মোড়াকরি ইউনিয়নের মোড়াকরি পূর্ব পাড়া গ্রামের আলকাছ মিয়ার সাথে হাঁস কেনাবেচা নিয়ে আফজাল আলীর পক্ষের লোকজনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধ মীমাংসার লক্ষ্যে গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে একটি সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু বৈঠক চলাকালীন দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে শনিবারের ঘটনার জেরে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে পুনরায় আপস-মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় মহরম আলী মেম্বারের বাড়ির সামনে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৬ জন আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
খবর পেয়ে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে উভয় পক্ষের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল হক জানান, “হাঁস কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫-২৬ জন আহত হয়েছেন। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি; অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”